• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০১৯, ০১:৫১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২২, ২০১৯, ০২:০১ পিএম

রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও কতিপয় এনজিওগুলোতে স্বস্তি

প্রস্তুতির পরও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হচ্ছে না আজ

প্রস্তুতির পরও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হচ্ছে না আজ

সব ধরনের প্রস্তুতির পরও শেষ মুহূর্তে এসে বহুল প্রত্যাশিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন স্থগিত করেন।

সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে নয়াপাড়া-২৬ নং ক্যাম্পে উপস্থিত হয়ে তিনি বৃহস্পতিবারের প্রত্যাশিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন স্থগিতের ঘোষণা দেন। এ খবরে স্থানীয় লোকজনকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেলেও ওই এলাকার রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও কতিপয় এনজিওগুলোর মাঝে কিছুটা স্বস্তির আভাস পাওয়া গেছে।

এদিকে, বাংলাদেশ সীমান্তের ঘুমধুম সীমান্ত বহুল প্রত্যাশিত রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু ফেরত পাঠাতে উভয় দেশের কর্মকর্তাদের তৎপরতা লক্ষণীয়। উখিয়ার বালুখালী থেকে  ঘুমধুম সীমান্তের মৈত্রী সেতু পর্যন্ত দুই কিলোমিটার নবনির্মিত মৈত্রী সড়কজুড়ে সীমান্তরক্ষী বিজিবি সদস্যদের সকাল থেকে কড়া নজরদারিতে থাকতে দেখা গেছে।

সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বিজিবি কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান ঘুমধুম সীমান্তে আসেন। কক্সবাজার-৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আলী আজাদ সকাল থেকে ঘুমধুম বিজিবি বিওপিতে অবস্থান করছেন। 

এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার সীমান্তে রোহিঙ্গাদের অভ্যর্থনা জানাতে সেদেশের কেন্দ্রীয় ও রাখাইন প্রাদেশিক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। তাদের সঙ্গে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা, উন্নয়ন সংস্থা, রেড ক্রস সহ সংশ্লিষ্টরাও রয়েছেন।

জানা গেছে, রোহিঙ্গাদের ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের ঢেকিবনিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে তুমব্রু লেটওয়ে ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে। মিয়ানমারের ঢেকিবনিয়া সীমান্ত থেকে তুমব্রু ট্রানজিট ক্যাম্পে নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ট্রান্সপোর্টও রয়েছে।

মিয়ানমারের দেওয়া ছাড়পত্র অনুযায়ী ১ হাজার ৩৭টি পরিবারের মোট ৩ হাজার ৫৪০ জনকে ফেরত নেওয়ার প্রথম তালিকাটি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত দুই দিনে ২৩৫টি রোহিঙ্গা পরিবারের মতামত নেওয়া হয়েছে। তাদের অনেকেই সম্মতি দিয়েছেন মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার জন্য।

এমএইউ

আরও পড়ুন