• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০১৯, ০৫:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২২, ২০১৯, ০৫:৪৮ পিএম

‘দুদকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী কর্মকর্তাদের সহ্য করা হবে না’

‘দুদকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী কর্মকর্তাদের সহ্য করা হবে না’
ইকবাল মাহমুদ - ফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী কর্মকর্তাদের সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। অভিযোগের অনুসন্ধান ও তদন্তে আরও স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে এক জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। 

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এ সভায় কমিশনের সকল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক, সকল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক, প্রধান কার্যালয়ের সচিব, মহাপরিচালক ও পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। 

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান বা তদন্তে কোনো প্রকার অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, পক্ষপাতিত্ব বা শৈথিল্য যা কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে- কর্মকর্তাদের এমন কোনো আচরণ কমিশন ন্যূনতম সহ্য করবে না। প্রতিজন কর্মকর্তা আমাদের ঠিক ততক্ষণই প্রিয় থাকবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি তার দায়িত্ব সততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে পালন করবেন। যারা এ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবেন তারা কোনো প্রকার অনুকম্পা পাবেন না।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমি বার বার আপনাদেরকে সতর্ক করি তারপরও যখন অভিযোগ আসে তখন ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া কোনো বিকল্প পথ থাকে না। অনুসন্ধানের টাইম লাইন নিয়ে অনেকবার কথা বলেছি। এখন থেকে যারা টাইম লাইন অনুসরণে ব্যর্থ হবেন তাদের উচিত হবে অপশন দিয়ে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কাজ করা। এ সুযোগ দুদকের বিধিতে রয়েছে।

নথিতে কোয়ারি দিয়ে অনুসন্ধান বা তদন্ত বিলম্ব করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এখন থেকে পরিচালক কিংবা মহাপরিচালক পর্যায়ে কোয়ারি দিয়ে নথি নিচে নামিয়ে দেয়া যাবে না। কমিশনের অনুমোদন ছাড়া কোনো কোয়ারি দেয়া যাবে না। আমরা এ প্রতিষ্ঠানটিকে মানুষের আস্থার প্রতীক বানাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। কারো গাফলতি কিংবা স্বেচ্ছাচারিতার কাছে এ প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হতে দেয়া হবে না।

সকল কর্মকর্তাদের মানুষের সঙ্গে বিনয়ী আচরণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, টেলিফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অনেকের রূঢ় আচরণের তথ্য আমরা পাই। সতর্ক হোন। কমিশনার অসংখ্য মামলার নথি পর্যালোচনা করে যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি উদঘাটন করেছেন তা দ্রুত সংশোধন করুন।

সভায় দুদকের দুই কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান ও এ এফ এম আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, কমিশনের আইনি ম্যান্ডেট বাস্তবায়ন করা হবে। দুর্নীতি আচরণ কাম্য নয়। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকলে ক্ষমতার দম্ভ থাকে না।

দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বলেন, যেসব নথি আমি পর্যালোচনা করেছি তাতে যেসব ত্রুটি পেয়েছি তা কাঙ্ক্ষিত নয়। আপনারা দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করলে এসব ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করা যেত।

এইচএস/ এফসি

আরও পড়ুন