• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০১৯, ০৫:৪১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২৫, ২০১৯, ০৫:৪১ পিএম

প্রশাসনিক ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারি না: ইফতেখার উদ্দিন

প্রশাসনিক ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারি না: ইফতেখার উদ্দিন
সাবেক কারা মহাপরিদর্শক (আইজি-প্রিজন) সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন- ছবি: সংগৃহীত

অধীনস্ত কর্মকর্তাদের দুর্নীতি চিহ্নিত করতে না পারাকে নিজের ব্যর্থতা বলে স্বীকার করেছেন সাবেক কারা মহাপরিদর্শক (আইজি-প্রিজন) সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। তিনি বলেছেন, সংস্থার প্রধান হিসেবে প্রশাসনিক ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারি না।

রোববার (২৫ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন তিনি।

সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেন, আপনারা জানেন, দুটি দুর্ঘটনা ঘটল। সেগুলো নিয়ে দুদক তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে দুদক ব্যবস্থা নেবে। মূলত, তাদের ব্যাপারে আমার কী কথাবার্তা আছে আমি সেগুলো বলেছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংস্থার প্রধান হিসেবে আমি দায় এড়াতে পারি না। এটা আমার প্রশাসনিক ব্যর্থতা বলা যেতে পারে। তাদের এই দুর্নীতি আমি আইডেন্টিফাই করতে পারিনি। বলতেই হবে এটা আমার ব্যর্থতা। বাকিটুকু প্রমাণ সাপেক্ষ। তদন্তে কী বেরিয়ে আসে, সেটা দুদক বলবে।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে দুর্নীতির ঘটনায় আজ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সংস্থাটির পরিচালক মুহাম্মদ ইউছুফের নেতৃত্বে একটি দল সাবেক কারা মহাপরিদর্শককে জিজ্ঞাসাবাদ করে। দুদক দলের অপর সদস্য হলেন উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন আহমেদ।

মূলত চট্টগ্রাম কারাগারে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতেই সাবেক কারা মহাপরিদর্শকের বক্তব্য নেয়া হয়। একই ঘটনায় এর আগে গত ৪ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় চট্টগ্রাম কারাগারের সাবেক ও বরিশালের বর্তমান সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত গোপাল বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

বাসা থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় সিলেটের ডিআইজি-প্রিজন পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে গত ২৯ জুলাই মামলা দায়ের করে দুদক। মামলায় তার বিরুদ্ধে সরকারি চাকরিতে থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ করা হয়। মামলার এজাহারে তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৬১, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা ও মানিলন্ডারিং আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত ২৮ জুলাই বিকালে ধানমন্ডির ভূতের গলিতে পার্থ গোপাল বণিকের ফ্ল্যাট থেকে থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করে দুদক। পরে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। ওই সময় পার্থ দাবি করেন, ৮০ লাখ টাকা তার বৈধ আয় থেকে অর্জিত। এর মধ্যে ৩০ লাখ টাকা শাশুড়ি দিয়েছেন, বাকি ৫০ লাখ টাকা সারাজীবনের জমানো টাকা।

ডিআইজি-প্রিজন পার্থ গোপাল বণিক ২০১৬ সালের ৮ আগস্ট চট্টগ্রাম কারাগারে ডিআইজি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।

২০১৮ সালের গত ২৬ অক্টোবর নগদ ৪৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা ও প্রায় ৫ কোটি টাকার নথিপত্রসহ ভৈরব রেলওয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন চট্টগ্রামের জেলার সোহেল রানা বিশ্বাস। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে সোহেল রানা দাবি করেন, উদ্ধার করা টাকার মধ্যে ৫ লাখ টাকা তার এবং বাকি ৩৯ লাখ টাকা পার্থ গোপাল বণিক ও প্রশান্ত গোপাল বণিকের।

এইচএস/টিএফ

আরও পড়ুন