• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০১৯, ০৬:০৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২৯, ২০১৯, ০৬:৫৫ পিএম

বঙ্গবন্ধু হত্যার প্লট তৈরিতে জাসদ দায়ী : নানক

বঙ্গবন্ধু হত্যার প্লট তৈরিতে জাসদ দায়ী : নানক
বক্তব্য রাখছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক -ছবি : জাগরণ

বঙ্গবন্ধু হত্যার প্লট তৈরি করা হয়েছিল। এর জন্য জাসদকে দায়ী করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, যখন প্লট তৈরি করা হয়েছে তখন আমাদের নেতৃত্ব কোথায় ছিল? দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা এবং যাদের কর্তৃত্ব দেয়া ছিল তারা কোথায় ছিলেন। আমাদের এ প্রশ্ন থেকেই যাবে। 

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগের সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় নানক বলেন, যারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত হয়েছিল সেই পরাজিত শক্তি মেনে নিতে পারে নি বঙ্গবন্ধু মুজিবকে। তারা এদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারে নাই আর মেনে নিতে পারে নি বলেই তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। 

স্বাধীনতা-উত্তর এদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিভাজন সৃষ্টি করে মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে দুর্বল করা হয়েছিল। কারা করল সে বিভাজন। সেই বিভাজনের রিং মাস্টার ছিলেন সিরাজুল আলম খান। বিভাজনের নেতা ছিলেন আ স ম আবদুর রব, মেজর জলিলরা। তারা পল্টনের লক্ষাধিক মানুষের যখন জমায়েত দেখেছে মনে করেছে এ মানুষগুলো সব জাসদের মানুষ। আসলে তারা ছিল স্বাধীনতা বিরোধী। ওই উপস্থিতি দেখেই ওদের (জাসদের) মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল।

দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আমাদের শত্রু-মিত্রকে চিনতে হবে। আজও দুটো বিষধর সাপ আমাদের সঙ্গে পথ চলছে। যখনই সুযোগ পাবে তখনই আমাদের উপরে ছোবল মারবে। আমি সেই অজগর সাপকে চিহ্নিত করতে চেয়েছিলাম, জামাত-শিবিরকে দিয়ে। আজকে বাংলাদেশের বিষধর দুটি সাপের অবস্থান এখনও রয়েছে। মনে রাখতে হবে ওই বিষধর সাপরা যখন আমাদের ঐক্যবদ্ধতা দেখে, জনগণের কোলাহল দেখে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মানুষ ‘জয়বাংলা' স্লোগান দেয় তখনই তারা গর্তের ভেতরে ঢুকে যায়। যখনই দেখে কোলাহল দুর্বল হয়ে এসেছে, আমাদের ভেতরে অনৈক্য, আমরা অসতর্ক, তখনই ওরা পেছন থেকে ছোবল মারে।

সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে- এই কথা বলে তারা সারাদেশে জ্বালাও-পোড়াও করেছে। পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে। এই অপশক্তিই সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল আগস্ট মাসেই, একুশে আগস্ট আমাদের দূরদর্শী নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য চালিয়েছিল গ্রেনেড হামলা।

সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের জবাবে নানক বলেন, আমাদের দোষ দিয়ে কি লাভ। আপনারা মানুষের কাছে চিহ্নিত হয়ে গিয়েছেন। মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছেন। আর মানুষ থেকে যেহেতু বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন সেই কারণেই আন্দোলন আন্দোলন খেলা আর হবে না।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কবি নির্মলেন্দু গুণ, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড . সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংবাদিক স্বদেশ রায়, আওয়ামী লীগের পরিবেশ ও বন উপ-কমিটির সদস্যবৃন্দ ও দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এএইচএস/এসএমএম

আরও পড়ুন