• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০১৯, ০৯:১৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৩১, ২০১৯, ০৯:১৮ এএম

প্রতিষ্ঠার ১০ বছরেও চালু হয়নি বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী স্কুলটি

প্রতিষ্ঠার ১০ বছরেও চালু হয়নি বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী স্কুলটি

প্রতিবন্ধিতার শিকার ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা এবং আর দশজনের মতো করে দাঁড় করিয়ে তাদের স্বাভাবিক জীনযাপনে সরকার যখন বদ্ধপরিকার, ঠিক সে সময় সমাজসেবা অধিদপ্তরের কতিপয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় ঝিনাইদহ শহরের সার্কিট হাউজ সড়কে নির্মিত বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী আবাসিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও চালু তরা যায়নি। তিন একর জমিতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মূক-বধির আবাসিক স্কুল স্থাপন প্রকল্পের অধীনে অবকাঠামো নির্মাণ করা হলেও প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগের অভাবে বিদ্যালয়টি চালু করা যাচ্ছে না।

জেলা সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালে শুরু করে ২০০৬ সালের মধ্যে বিদ্যালয়টি নির্মাণের কথা ছিল। পরে নির্মাণের সময় ২০০৯ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ৪ কোটি ১৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় একাডেমিক ভবন ও দুটি আবাসিক হলসহ অন্যান্য অবকাঠামো। 

এ বিদ্যালয়ে প্রতি বছর যশোর, ঝিনাইদহ, নড়াইল, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরের ৫০ জন ছেলে ও ৫০ জন মেয়ে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীকে ভর্তির কথা রয়েছে। অথচ কার্যক্রম না হওয়ায় এ অঞ্চলের বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীরা বিদ্যালয়টির শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ২৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলেও একদিনও তাদের ক্লাস নেয়া হয়নি। শিক্ষার্থীদের খাবার বাবদ চলতি অর্থবছরে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ এলেও তা ফেরত দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় আসবাব ও শিক্ষার্থীদের বিছানা সরবরাহ করা হয়। যেগুলো রাখা হয় সমাজসেবা অধিদপ্তরের মধুপুর শিশু পরিবারে। দীর্ঘদিন পড়ে থেকে বর্তমানে এসব আসবাবপত্রের অনেক কিছুই নষ্ট হয়ে গেছে। ব্যবহার না হওয়ায় নষ্ট হয়ে গেছে বিদ্যালয়ের জন্য দেয়া দুটি কম্পিউটার। অন্য দুটি ল্যাপটপ ব্যবহার হচ্ছে সমাজসেবা অফিসে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এ স্কুলের জন্য একজন প্রধান শিক্ষক, একজন হাউজ প্যারেন্ট, দুজন শিক্ষক, দুজন কারিগরি শিক্ষক, একজন হিয়ারিং এইড টেকনিশিয়ান ও একজন মেট্রন কাম নার্সসহ ১৮টি পদ সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু আজ অবধি এসব পদে লোকবল নিয়োগ দেয়া হয়নি। স্কুলটি বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য হলেও নিয়োগ দেয়া হয়েছিল দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের দুজন শিক্ষক। যাদের আবার অন্যত্র ডেপুটেশনে পাঠানো হয়েছে।

ঝিনাইদহের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর সুষেন্দু কুমার ভৌমিক বলেন, এটি একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান। লোকবল নিয়োগের অভাবে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এটি অচল পড়ে আছে। অথচ বিদ্যালয়টি চালু করা গেলে ঝিনাইদহসহ আশপাশের কয়েকজেলার বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীরা উপকৃত হতো।

এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, লোকবল নিয়োগ না হওয়ায় স্কুলটি চালু করা যাচ্ছে না। তবে এটি চালুর জন্য চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে শিক্ষক নিয়োগের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।


কেএসটি

আরও পড়ুন