• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৯, ০৩:৫১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৯, ০৪:১০ পিএম

মৃত্যুর আগে সংসদে এরশাদের আপ্যায়ন ব্যয় দেড় লাখ টাকা

মৃত্যুর আগে সংসদে এরশাদের আপ্যায়ন ব্যয় দেড় লাখ টাকা

মৃত্যুর আগে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে মাত্র দুই দিন একাদশ  জাতীয় সংসদে গিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। আর এ দুদিনে তিনি সংসদ কার্যালয়ে আপ্যায়ন খরচ করেছেন প্রায় দেড় লাখ টাকা। অন্যদিকে তার ছোট ভাই সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম কাদেরের খরচ হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৮৭ টাকা। 

সংসদ ভিআইপি ক্যাফেটেরিয়ার সূত্র জানায়, ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আগের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদকে হটিয়ে জানুয়ারিতে নিজেকে বিরোধী দলীয নেতা হিসেবে ঘোষণা দেন তিনি। চলতি সংসদের তিনটি অধিবেশনের ৫২টি কার্যদিবসের মধ্যে মাত্র দুই দিন সংসদে গেছেন জাতীয় পার্টি সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। এমনকি বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে সংসদে বক্তব্য দেয়ারও সুযোগ হয়নি তার। অথচ ৪ মাসে তার অফিসের খাওয়ার ভাউচার করা হয়েছে ১ লাখ ৫১ হাজার ৬৬ টাকা। 

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন পরিচালিত সংসদ ভিআইপি ক্যাফেটেরিয়ার ইউনিট ব্যবস্থাপক আকতার আহমেদ জানান, ‘তার কার্যালয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে আপ্যায়ন চলে। মে মাস পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। তবে এসব ব্যয় বৈধ। কারণ সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও উপনেতা হিসেবে অফিস চালানোর জন্য তারা বড় অংকের ভাতা পেয়ে থাকেন।’

এ বিষয়ে তিনি আর কোনো তথ্য দিতে ও মন্তব্য করতে রাজি হননি। 
৮৯ বছর বয়সী সাবেক সেনাশাসক ও পাঁচবারের সংসদ সদস্য এরশাদ দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় থাকার পর গত ১৪ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

সংসদের প্রশাসনিক শাখা সূত্র জানায়, এরশাদের সংসদের অফিসে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৪৩ হাজার ৫৬৫ টাকা ব্যয় হয়েছে। মার্চে ২৯ হাজার ৬২৬ টাকা, এপ্রিলে ৪৫ হাজার ৮১০ টাকা এবং মে মাসে ৩২ হাজার ৬৫ টাকা মোট ১ লাখ ৫১ হাজার ৬৬ টাকা আপ্যায়নে ব্যয় হয়েছে। 

একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম তিনটি অধিবেশনের ৫২ কার্যদিবসের মধ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অধিবেশনের পুরোটাই সংসদের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন এরশাদ। সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার স্বীকৃতি পেলেও এ সময়ে কোনও বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ হয়নি সাবেক এই রাষ্ট্রপতির।

জানতে চাইলে সংসদ সচিবালয়ের উপসচিব (আইন-২) এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার বলেন, চলতি সংসদে ২০১৯ সালে চলা তিনটি অধিবেশনে মাত্র দুইদিন উপস্থিত ছিলেন এরশাদ। ১০ ফেব্রুয়ারি ও ৬ মার্চ সংসদের উপস্থিত ছিলেন তিনি।

জানতে চাইলে বিরোধী দলীয় চিফ হইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, সংসদের প্রত্যেক ভিআইপি প্রাধিকার বলে আপ্যায়ন ভাতা চেয়ে থাকেন। সংসদে যেসব অতিথি আসেন তাদের জন্য সেই আপ্যায়ন ভাতা থেকে ব্যয় করা হয়। এটা দোষের কিছু নয়।

সূত্র আরো জানায়, এই তিন মাসে এরশাদের ছোট ভাই সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম কাদেরের খরচ হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৮৭ টাকা। তিনি ফেব্রুয়ারিতে ৫০ হাজার ১১ টাকা, মার্চে ২৯ হাজার ১৪৫ টাকা, এপ্রিলে ২৪ হাজার টাকা, আর মে মাসে ৪৩ হাজার ২৯৮ টাকা আপ্যায়ন ব্যয় হয়েছে। তবে নিয়মিত তিনি সংসদে গেছেন। বক্তব্যও রেখেছেন তিনি। 

৪ জানুয়ারি এরশাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে পার্টির সব নেতাকর্মী-সমর্থক এবং দেশবাসীর উদ্দেশে আমি এই মর্মে জানাচ্ছি যে, একাদশ জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টি প্রধান বিরোধীদল হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।’

এইচএস/বিএস 
 

আরও পড়ুন