• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯, ০৩:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯, ০৩:০২ পিএম

এডহক কমিটিকে ‘না’ 

৪০ জেলার শিল্পকলা একাডেমিতে আসছে নির্বাচিত কমিটি

৪০ জেলার শিল্পকলা একাডেমিতে আসছে নির্বাচিত কমিটি

দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৪০টির শিল্পকলা একাডেমি এডহক কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এসব জেলায়  নির্বাচনের মাধ্যমে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের সুপারিশ করেছে সংসদীয় সাব কমিটি। আর যে ৪টি জেলায় (কুড়িগ্রাম, পিরোজপুর, কিশোরগঞ্জ এবং সাতক্ষীরা) বর্তমানে কোনো কমিটি নেই, সেগুলোয় দ্রুত নির্বাচিত কমিটি গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে।

সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পরবর্তী বৈঠকের পূর্বে কমিটি গঠনের কাজ শেষ করার সুপারিশ করা হয়।

সম্প্রতি সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১নং সাব-কমিটির প্রথম বৈঠকে এ সব সুপারিশ করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক অসীম কুমার উকিলের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য কাজী কেরামত আলী উপস্থিত ছিলেন। কমিটির আরেক সদস্য সেলিনা ইসলাম অসুস্থতার কারণে অনুপস্থিত ছিলেন।

সভার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির গত ২৮ জুলাই অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির তৃতীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই সাব কমিটি গঠিত হয়। দেশের ৬৪টি জেলায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির এডহক কমিটিগুলো কীভাবে কাজ করছে এবং যে কমিটিগুলো এখনও গঠিত হয়নি তার কারণ উদঘাটন ও কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে সুপারিশ সম্বলিত একটি প্রতিবেদন মূল কমিটিতে উপস্থাপনের জন্য এই সাব কমিটি গঠিত হয়। এরপর সাব কমিটির বৈঠকে জানানো হয়, বর্তমানে দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ২০টি জেলার জেলা শিল্পকলা একাডেমি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। ৪০টি জেলার জেলা শিল্পকলা একাডেমি ৫ সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। আর ৪টি জেলার (কুড়িগ্রাম, পিরোজপুর, কিশোরগঞ্জ এবং সাতক্ষীরা) জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে কোনো কমিটি নেই। 

কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩ মাস পূর্বেই পরবর্তী নির্বাচনের মাধ্যমে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনপূর্বক নতুন কমিটির নিকট দায়িত্ব হস্তান্তরের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। 

বৈঠক জানানো হয়, জেলা পর্যায়ে অবস্থিত জেলা শিল্পকলা একাডেমির যে অবকাঠামো রয়েছে তা অত্যন্ত নাজুক। অচিরেই এর সংস্কার হওয়া প্রয়োজন। সব জেলায় শিল্পকলা একাডেমির কাজ সমানভাবে হয় না। কোনো কোনো জেলায় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড কম আবার কোনো কোনো জেলায় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের পরিধি বেশি। তাই শিল্পকলা একাডেমির কাজের পরিধি বিবেচনায় জেলাভিত্তিক অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে আলোচনা হয়। 

কোনো কোনো জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে কালচারাল অফিসার পদে লোকবল না থাকায় বিভিন্ন জাতীয় উৎসব এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড যথাযথভাবে আয়োজিত হচ্ছে না। তাই যেসব জেলায় কালচারাল অফিসার পদে কর্মকর্তা কর্মরত নেই, সেসব জেলায় অতিসত্ত্বর কর্মকর্তা পদায়নের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বৈঠকে আলোচিত হয়।

বর্তমানে সব জেলার জেলা শিল্পকলা একাডেমিসমূহ কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে, তাদের সুবিধা-অসুবিধা ইত্যাদি জানার জন্য সব জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কালচারাল অফিসারদের নিয়ে দিনব্যাপী একটি মতবিনিময় সভা/কর্মশালা আয়োজনের বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।

এইচএস/ এফসি

আরও পড়ুন