• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯, ০৯:৫৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯, ০৯:৫৬ এএম

সংসদে উঠছে কাস্টমস বিল

সংসদে উঠছে কাস্টমস বিল

আমদানিকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে  শুল্ক ও কর ফাঁকির উদ্দেশ্যে ওয়ারহাউস সুবিধার অপব্যবহার করলে সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্ত করাসহ সর্বোচ্চ ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও শুল্ক করের দ্বিগুণ জরিমানা আদায় করা হবে। এমন বিধান রেখে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর)  জাতীয় সংসদে উঠছে কাস্টমস বিল ২০১৯। একইভাবে শুল্ক পরিশোধ ছাড়া পণ্য খালাসে সহায়তা করলে একই দণ্ড আরোপের বিধান রাখা হয়েছে। এই বিলে সরকারকে নীতিমালা প্রণয়নের কর্তৃত্ব দেয়া হয়েছে।

জাতীয় সংসদে বিলটি উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গত ২৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিলটি অনুমোদন দেয়া হয়।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত বছর জাতীয় সংসদে কাস্টমস বিল-২০১৮ উপস্থাপন করেছিলেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। একই সঙ্গে কাস্টমস আইনও উপস্থাপন করা হয়। এরপর এক মাসের মধ্যে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিলটি সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

অর্থ মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. আব্দুস শহীদ জানান, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত ও চূড়ান্ত অনুমোদন অনুযায়ী কাস্টমস আইন-২০১৮ এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। সংবিধানের ৮২ অনুচ্ছেদ বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির সুপারিশ গ্রহণ করে অর্থবিল আকারে দশম জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশনে কাস্টমস বিল-২০১৮ শিরোনামে উত্থাপিত হয়। বিলটি পর্যালোচনার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।  

তিনি আরো জানান, বিলটি পাস করার আগেই দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তাই গত মে মাসে বিলটি পুনরায় মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হয়। ২০১৮ এর বিলে সামান্য কিছু পরিবর্তন এনে কাস্টমস বিল ২০১৯ চূড়ান্ত করা হয়েছে। মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর নতুন কাস্টমস বিল ২০১৯ সংসদে উপস্থাপিত হতে যাচ্ছে।

সূত্র জানায়, নতুন বিলটি কাস্টমস আইন ১৯৬৯-কে যুগোপযোগী ও আধুনিক করবে। প্রস্তাবিত বিলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কাস্টমস কর্মকর্তাকে সন্দেহভাজন ব্যক্তি বা চোরাচালানে জড়িত সন্দেহে কোনো ব্যক্তিকে পরোয়ানা ব্যতীত তল্লাশি গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এছাড়া চোরাচালান নিরোধে কাস্টমস কর্মকর্তা বা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য কোনো সংকেত বা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করতে পারবে।

বিলে পণ্য বাজেয়াপ্ত বা জরিমানা আরোপের পূর্বে এই আইনের অধীন কোনো কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করা যাবে না। জরিমানা ও সর্বোচ্চ দণ্ডের পরিমাণ কাস্টমসের কর্মকর্তা বা বিচারক কর্তৃক নির্ধারিত হবে। এজন্য আইনে কাস্টমস হাউস বা ক্লিায়ারেন্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি কমিশনার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার সর্বোচ্চ পরিমাণ জরিমনা আরোপ করতে পারবেন। এছাড়া দুই লাখ টাকা থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আদায়ের ক্ষমতা আইনে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশন চলছে। চলতি অধিবেশনে কাস্টমস বিল-২০১৯ ছাড়াও বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইন্সটিটিউট বিল-২০১৯, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট (সংশোধন) বিল-২০১৯, বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র বিল-২০১৯ এবং বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ (সুরক্ষা) বিল-২০১৯ নিয়ে আলোচনা ও পাস হওয়ার কথা রয়েছে।

এইচএস/টিএফ

আরও পড়ুন