বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চতুর্থ বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দেশে আসবে বলে কথা ছিল। কিন্তু উড়োজাহাজটির রাডারে ত্রুটি ধরা পড়ায় এটি দেশে আসার নতুন দিন নির্ধারিত হয়েছে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর)।
বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত উড়োজাহাজটি আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল থেকে স্থানীয় সময় (যুক্তরাষ্ট্রের) বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ডেলিভারির আগে প্রত্যেকটি উড়োজাহাজ টেস্ট করা হয়। তখন এর রাডারে ত্রুটি ধরা পড়ে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুধু রাজহংসই নয়, সব মিলিয়ে ১০টি উড়োজাহাজের রাডারে ত্রুটি পাওয়া গেছে। বোয়িংয়ের প্রকৌশলীরা এই ত্রুটি সারাতে কাজ করছেন।
এ বিষয়ে বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক (পিআর) তাহেরা খন্দকার জানান, রাজহংস ডেলিভারি দিতে বিমানের কাছে আরো ৪৮ ঘণ্টা সময় চেয়েছে।
‘রাজহংস’ যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমান বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৬টি। দেশে পৌঁছার পর উড়োজাহাজটিকে ওয়াটার ক্যানন স্যালুটের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হবে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর উড়োজাহাজটি উদ্বোধনের কথা ছিল। কিন্তু সময়মতো উড়োজাহাজ দেশে না আসায় ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমানের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও ক্যাপ্টেন ফরহাত জামিল। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী যখন সময় দেবেন তখন অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ জানানো হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরের চারটি ড্রিমলাইনারের নাম দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এগুলো হলো- আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস।
রাজহংসে আসন সংখ্যা ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত রিক্লাইন্ড সুবিধা এবং সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে ভ্রমণ করতে পারবেন। উড়োজাহাজটিতে যাত্রীরা অন্যান্য আধুনিক সুবিধাসহ ইন্টারনেট ও ফোন কল করার সুবিধাও পাবেন।
২০০৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি ব্র্যান্ড নিউ উড়োজাহাজ কিনতে চুক্তি করে বিমান। এরইমধ্যে চারটি নতুন বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি নতুন বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও তিনটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ বিমানের বহরে যুক্ত হয়েছে।
এইচএম/ এফসি