রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে চীনের ভূমিকা আরও জোরালো হবে বলে জানিয়েছেন চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

জানা যায়, সাক্ষাৎকালে তারা রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ নিরাপদ প্রত্যাবাসন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রসার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
 
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের এ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার করা হবে। বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার চীন। 

বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বাণিজ্যে চীনের ভূমিকার প্রশংসা করে স্পিকার এ সকল সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, চীনের কারিগরি সহায়তা নিয়ে পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছে। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীনের আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখা দরকার উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, রোহিঙ্গা নাগরিকরা যেন নির্ভয়ে নিজ দেশে স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণভাবে প্রত্যাবর্তন করতে পারে সেটা নিশ্চিত করে মানবিক এ সমস্যা সমাধানে চীনকে ভূমিকা রাখতে হবে।

চীন সফরের স্মৃতিচারণ করে স্পিকার বলেন, ওই সফরে ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস অব চীনের স্পিকার তাকে বেইজিংয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন বেশ আন্তরিক। ভবিষ্যতে দুদেশের সংসদ সদস্যদের সফর বিনিময় এ সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করবে।

চীনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, পারস্পারিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধি এ অঞ্চলের সকল দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। 
 
সাক্ষাৎকালে ঢাকায় চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এইচএস/ এফসি