• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯, ০৯:৩২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯, ০৯:৩৫ পিএম

‘এমপিদের উপদেষ্টা থাকাটাই বাঞ্ছনীয়’

‘এমপিদের উপদেষ্টা থাকাটাই বাঞ্ছনীয়’
তাজুল ইসলাম - ফাইল ছবি

উপজেলা পরিষদের বৈঠকে এমপিদের উপস্থিত থাকা অবৈধ- এমন প্রশ্ন তোলা অবান্তর বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, এমপিরা উপদেষ্টা থাকলে কাজের মান ভালো হয়, শান্তি-শৃঙ্খলা থাকে। এখানে এমপিদের উপদেষ্টা থাকাটাই বেশি বাঞ্ছনীয়।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তাজুল ইসলাম।

রুমিন ফারহানা উপজেলা পরিষদে এমপিদের উপদেষ্টার পদ থেকে বাদ দিয়ে আইন সংশোধনীর দাবি জানিয়ে বলেন, উপজেলা পরিষদ আইনের ২৫ ধারায় সংসদ সদস্যদের উপদেষ্টা রাখার বিধান স্বাধীনভাবে কাজ করায় বাধা তৈরি করে। এটি সংবিধানের ৫৯ ধারারও পরিপন্থি। গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় সরকার ইউনিট সত্যিকার অর্থে কার্যকর করতে এই ধারায় সংশোধনী এনে সংসদ সদস্যদের বাদ দেয়ার কোনো পদক্ষেপ নেয়া হবে কি?

জবাবে মন্ত্রী বলেন, এই প্রশ্নটা কেন করা হয়? এটা বাইরে থেকে মাঝে-মধ্যে শুনতাম। সংসদ সদস্যরা যার যার এলাকায় নির্বাচিত প্রতিনিধি। ওই এলাকার জনগণের দেখভাল করা, তাদের ভালোমন্দের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার অধিকার তারা রাখেন। এমপিরা যদি উপজেলা পরিষদের উপদেষ্টা হিসেবে থাকেন তাহলে উপজেলা পরিষদের যেসব মিটিং হয় সেগুলোর মান অনেক বৃদ্ধি পায়। তারা সেখানে উপদেষ্টা হিসেবে থেকে প্রয়োজনীয় উপদেশ দেন। কোথা থেকে এরকম অবান্তর প্রশ্ন আসছে যে, সংসদ সদস্যরা থাকলে স্বাধীনভাবে কাজ করতে অসুবিধা হবে!

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার অর্থ কী? সরকার কর্তৃক যে বরাদ্দ দেয়া হবে সেগুলো ভালোভাবে কাজ করছে কি না, এখানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে অথবা এমপিরা উপস্থিত থেকে দেখাশোনা করলে কাজের মান ভালো হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভালো চলে, এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে, আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি হয়। এমপিরা অবদান রাখলে আমার মনে হয় না কোনোভাবেই তা আপত্তিকর মনে হতে পারে। বাস্তবে এমপিদের উপদেষ্টা থাকাটাই অনেক বেশি বাঞ্ছনীয়।

এইচএস/ এফসি

আরও পড়ুন