• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯, ০৬:১৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯, ০৬:২৩ পিএম

ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমে উচ্চ মাত্রায় মেশানো হচ্ছে পারদ

ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমে উচ্চ মাত্রায় মেশানো হচ্ছে পারদ
প্রেসক্লাবে ‘স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর পারদযুক্ত পণ্যের ক্ষতিকর প্রভাব’ শীর্ষক এক কর্মশালা -ছবি : জাগরণ

রং ফর্সাকারী ক্রিমে ছেয়ে গেছে দেশের বাজার। সহজেই যেসব ত্বক ফর্সাকারী পণ্য পাওয়া যাচ্ছে তার বেশিরভাগে অতি মাত্রায় পারদ মেশানো হয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যার মাত্রা এক পিপিএমের চেয়ে অনেক বেশি। এসব ক্রীম দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে কিডনির জটিলতা, হজমে সমস্যা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস এবং স্নায়ুতন্ত্রজনিত সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সেমিনার কক্ষে ‘স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর পারদযুক্ত পণ্যের ক্ষতিকর প্রভাব’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর (ডিওই) এবং এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো) যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে। কর্মশালায় সাবেক সচিব এবং এসডোর চেয়ারম্যান সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাসেম এবং এসডোর প্রোগ্রাম এসোসিয়েট যুথী রাণী মিত্র।

কর্মশালায় জানান হয়, প্রসাধনী জুয়েলারিসহ ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যসমূহে পারদ ব্যবহৃত হচ্ছে। অজৈব পারদ ত্বক ফর্সাকারী পণ্যগুলিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে যুক্ত করা হয়, যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে এসডোর বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমগুলোর বেশিরভাগের মধ্যে পারদ অবিশ্বাস্য মাত্রায় রয়েছে (প্রায় ৭১১ থেকে ১৬,৩৫৩ পিপিএম)। যা প্রস্তাবিত সর্বাধিক পারদ মাত্রা ১ পিপিএমের চেয়ে অনেক বেশি।

এ ব্যাপারে সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ পারদযুক্ত পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে প্রতিরোধমূলক উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মিনাসাটা কনভেনশনের স্বাক্ষরকারী দেশ হওয়ায় আমরা পারদ-বিষ প্রতিরোধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমাদের উৎস থেকেই পারদ নিষিদ্ধ করার দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সাবেক এই সচিব বলেন, বাজারে পারদযুক্ত ত্বক ফর্সাকারী ক্রীমে ছেয়ে গেছে। এর ফলে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ ঝুঁকিতে পড়েছে। 

ড.শাহরিয়ার হোসেন জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নীতি-বিধি বাস্তবায়ন ও প্রয়োগের মাধ্যমে ত্বক ফর্সাকারী পন্যগুলোর ব্যবহার সম্পূর্ণ বাতিল করে দেয়ার উপর জোর দেন।

এসডোর মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন। আলোচনায় প্যানেল স্পিকার হিসেবে ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোকলেসুর রহমান এবং ড. রওশান মমতাজ, বুয়েটের সিভিল ইজ্ঞিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবং এসডোর নির্বাহী পরিচালক সিদ্দীকা সুলতানা।

টিএস/একেএস

আরও পড়ুন