• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৯:১২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৯:১২ এএম

প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে বিশেষ সতর্কতা 

ঢাবি ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ

ঢাবি ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ

বিগত বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় নেয়া হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬টি কেন্দ্রে বিশেষ নজরদারিতে থাকছে ঢাবি প্রশাসন, সিআইডি ও গোয়েন্দারা। পাশাপাশি বাইরের প্রতিটি কেন্দ্রের প্রবেশদ্বারে বসানো হয়েছে মেটাল ডিটেক্টর। পাশাপাশি নজরদারিতে রয়েছেন ‘গ’ ইউনিটের সমন্বয়ক সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন মনোনীত প্রতিনিধিরাও।

আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ঢাবি ক্যাম্পাসের ৫৬টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার ভর্তি পরীক্ষায় কোনো ধরনের জালিয়াতির সুযোগ নেই বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী। তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে আমরা যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করেছি।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এক হাজার ২৫০ আসনের জন্য পরীক্ষায় অংশ নেবেন ২৮ হাজার ৯৫৮ জন। প্রতি আসনের জন্য লড়বেন ২৩ জন পরীক্ষার্থী। গত বছর সমান সংখ্যক আসনের বিপরীতে আবেদন করেছিলেন ২৬ হাজার ৯৬০ জন।

পরীক্ষাটি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে এরইমধ্যে হলে মোবাইল ফোন বা টেলিযোগাযোগ করা যায় এরূপ কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস/যন্ত্র সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছেন কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষা চলাকালে কাজ করবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কয়েকটি টিম। সবাইকে সময় নিয়ে আগে আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে চলে আসার নির্দেশনা দেন প্রক্টর গোলাম রব্বানী।

এদিকে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু হওয়ার লক্ষ্যে সিআইডি কর্মকর্তা মোল্যা নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম সার্বক্ষণিক ঢাবি ক্যাম্পাসে সতর্ক পাহারায় থাকছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের তালিকাভুক্ত কোনো শিক্ষার্থীকে কেন্দ্রের আশপাশে পাওয়া গেলে, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। সিআইডি ও ডিবির একাধিক টিম পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে টহলে থাকবেন। ডিআইজি শাহ আলম, ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ পৃথক পৃথক টিম নিয়ে মোতায়েন থাকবেন।

অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, গত বছর ঢাবির ভর্তি পরিক্ষায় জালিয়াতিতে অভিযুক্ত ১২৫ জনের বাইরে আরও অনেকেই জড়িত আছে। এদের মধ্যে ৪৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা, মেডিকেল ভর্তি ও বিসিএস পরীক্ষারও প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত ছিল বলে স্বীকার করেছে। অভিযুক্ত অনেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বেশ কিছু টাকা পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলার পাশাপাশি চার্জশিটও দাখিল করা হয়েছে আদালতে। 

এইচ এম/ এফসি

আরও পড়ুন