• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯, ০৬:২৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯, ০৬:২৯ পিএম

দৈনিক জাগরণকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

প্রশিক্ষণ নিতে উগান্ডায় পাঠানোয় অনিয়ম হয়ে থাকলে ব্যবস্থা 

প্রশিক্ষণ নিতে উগান্ডায় পাঠানোয় অনিয়ম হয়ে থাকলে ব্যবস্থা 
মো. তাজুল ইসলাম - ফাইল ছবি

নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধাবঞ্চিত উগান্ডায় ‘নিরাপদ পানির প্রশিক্ষণ’ নিতে চট্টগ্রাম ওয়াসার ৪১ কর্মকর্তাকে পাঠানোর বিষয়টি জানেন না স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, উগান্ডায় পাঠানোয় কোনো অনিয়ম বা অর্থ তছরুপ হয়ে থাকলে এ বিষয়ে কেউ ছাড় পাবেন না। তবে বিষয়টি তিনি জেনে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে দৈনিক জাগরণকে তিনি এসব কথা বলেন। 

নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধাবঞ্চিত হওয়ায় কলেরার প্রকোপে শত শত মানুষের মৃত্যু হওয়া উগান্ডায় কেন চট্টগ্রামে ওয়াসার কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে পাঠানো হল- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মকর্তাদের উগান্ডা পাঠানোর বিষয়টি আমার পূর্ণাঙ্গ জানা নেই। কোনো বিষয় পুরোপুরি না জেনে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। বিষয়টি জেনে আপনাদের জানাব। তবে উগান্ডা পাঠানোয় যদি কোনো প্রকার অনিয়ম হয়ে থাকে বা মনে করেন অর্থের তছরুপ হয়ে থাকে, তবে আপনাদের কথা দিতে পারি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চট্টগ্রাম ওয়াসার এ ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছে, অথচ আপনি জানেন না, বিষয়টিকে কি আপনি এড়িয়ে যেতে চাইছেন- দৈনিক জাগরণের এমন প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই আপনারা আমাকে দেখছেন। আমার ভেতরে কোনো লুকোচুরি নেই, ভনিতা নেই। এ পর্যন্ত কোনো বিষয়ে আপনাদের এড়িয়ে গেছি- তা বলতে পারবেন না। আমি দুর্নীতি করি না, দুর্নীতি প্রশ্রয়ও দিই না। এ বিষয়ে কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ পেলে ছাড় দেবো না।” 

‘নিরাপদ পানির প্রশিক্ষণ’ নিতে চট্টগ্রাম ওয়াসার ২৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তাসহ মোট ৪১ কর্মকর্তাকে পূর্ব-মধ্য আফ্রিকার দেশ উগান্ডায় পাঠানো হয়েছে। অথচ উগান্ডা নিরাপদ পানি ও পয়োনিষ্কাশন সুবিধাবঞ্চিত একটি দেশ। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সরকারের ভেতরে-বাইরে তোলপাড় শুরু হয়। 

প্রসঙ্গত, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোয় বিশুদ্ধ পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিতে কাজ করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘ওয়াটার ডট ওআরজি’র প্রতিবেদনে দেখা যায়- উগান্ডার ৬১ শতাংশ মানুষ এখনো নিরাপদ পানি থেকে বঞ্চিত এবং ৭৫ শতাংশের উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা নেই। এ ছাড়া বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলার, আর উগান্ডার আয় মাত্র ৭২৫ ডলার।

এমএএম/ এফসি

আরও পড়ুন