• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯, ০৮:১৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯, ০৮:৩৪ এএম

দামের লাগাম টানতে আজ থেকে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি

দামের লাগাম টানতে আজ থেকে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি

আজ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) থেকে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি। ন্যায্যমূল্যে ট্রাক সেলের মাধ্যমে পেঁয়াজের বাজারদরের লাগাম টানতে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে এলসি মার্জিন এবং সুদের হার হ্রাসের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া বন্দরে আমদানিকৃত পেঁয়াজের খালাস প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা এবং নির্বিঘ্নে পরিবহন নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, নিজেদের বাজার সামাল দিতে পেঁয়াজ রফতানির ন্যূনতম মূল্য টন প্রতি ৮৫০ ডলার বেঁধে দিয়েছে ভারত। এ খবরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রোববার বাংলাদেশের বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ১৫ টাকার উপরে। ঢাকার বড় বড় বাজারে এখন ভালোমানের দেশি পেঁয়াজ ৭০-৭৫ টাকা, দেশি কিং নামের একধরনের পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৬০-৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজের দামটা বেড়েছে মূলত পাইকারি বাজারে। পাইকারি বাজারসংলগ্ন খুচরা বাজারে তাৎক্ষণিকভাবে প্রভাব পড়েছে।  যেসব খুচরা ব্যবসায়ী গত শনিবার পাইকারি বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনেছেন, তারাও বাড়তি দামে বিক্রি করছেন।

বিক্রেতারা বলছেন, ভারতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণে দেশেও দাম বেড়েছে। গত শুক্রবার ভারতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা শুনেই দেশের বাজারের পাইকারি বিক্রেতারা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। অথচ শনিবার হিলির আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানি একেবারেই কমিয়ে দিয়েছিল। অর্থাৎ বাড়তি দামের পেঁয়াজ বাজারে আসার আগেই দাম বেড়ে গেছে। যে কারণে কেউ আসলে ঠিক বলতে পারছে না পেঁয়াজের দাম কতটুকু বাড়বে বা কতটুকু বাড়ানো উচিত। ফলে খুচরা বিক্রেতারা যে যেভাবে পারছে পেঁয়াজ বিক্রি করছে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকা কেজি দরে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়। দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৫-৩০ টাকা। অথচ অন্যসময়ে খুচরা ও পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দামে ফারাক থাকে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু এখন পাইকারি ও খুচরা বাজারের প্রতি কেজি পেঁয়াজে দামের পার্থক্য দাঁড়িয়েছে ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত। যা ব্যবসায়ীদের একটি কারসাজি বলে দাবি করেছেন ক্রেতারা।

স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ব্যবসায়ীরা আগে ৩০০-৩৫০ ডলারে যেসব এলসি খুলেছিলেন তার বিপরীতে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারে নাই। এখন ভারতের নির্ধারিত রফতানি মূল্য ৮৫২ ডলারে নতুন এলসি খুলতে হচ্ছে।

এইচএম/এআই/এসএমএম