• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯, ০৯:৫৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯, ০৯:৫৫ পিএম

পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা, প্রস্তুতি ছাড়াই বিক্রির ঘোষণা টিসিবির

পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা, প্রস্তুতি ছাড়াই বিক্রির ঘোষণা টিসিবির

কোনো ধরনের প্রস্তুতি ছাড়াই হঠাৎ করে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে বাণিজ‌্য মন্ত্রণালয়। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর মাধ্যমে আজ (সোমবার) থেকে বাজারে পেঁয়াজ বিক্রির ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে টিসিবি পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেনি। 

টিসিবি বলছে, এখনো পেঁয়াজ ক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়নি। যেসব বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয় সেখান থেকে কেনার কথাবার্তা চলছে। আজ যদি কেনা সম্ভব হয় তবে সেগুলো ঢাকায় এনে আবার ডিলারদের কাছে সরবরাহ করার বিষয় রয়েছে। সেই হিসেবে আগামীকালও (মঙ্গলবার) বিক্রি শুরু করা যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশে পেঁয়াজের বাজার চরম অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে গত রোববার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যার একটি ছিল আজ থেকে টিসিবির মাধ্যমে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করা। এছাড়া বন্দরে আমদানি করা পেঁয়াজ দ্রুত খালাস করা, পরিবহনের নির্বিঘ্ন চলাফেরা চিশ্চিত করা, পেঁয়াজ আমদানিতে এলসি মার্জিন ও সুদের হার হ্রাসে বাংলাদেশ ব্যাংককে পত্র দেয়ার মত কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। 

এদিকে ভারতে পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য ৮৫০ ডলার বেঁধে দেয়া হয় গত শুক্রবার। এই খবরের পর থেকেই দেশের বাজারে হু হু করে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। আজ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ একই দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতাদরের গুনতে হচ্ছে ৮০ টাকা। যা গত শুক্রবারও ছিল ৫০-৫৫ টাকা।

কেনা হয়নি পেঁয়াজ। সরকারের গোডাউনেও মজুদ নেই। তারপরও ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কোনো প্রস্তুতি না থাকায় খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেনি ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।

এ বিষয়ে টিসিবির তথ্য প্রদানকারী মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘পেঁয়াজ কেনার জন্য কাজ শুরু হয়েছে। তবে আজকে হয়তো বিক্রি শুরু করা সম্ভব হবে না। স্বল্প সময়ে বন্দর থেকে পেঁয়াজ কেনার জন্য টিসিবি কাজ শুরু করেছে। পেঁয়াজ কেনা হলে এর ওপর ভর্তুকি দিয়ে দাম নির্ধারণ করা হবে। দ্রুততম সময়ে এসব কার্যক্রম শেষ করা হবে। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ হিসেবে মিসর, তুরস্কসহ কয়েকটি দেশ থেকে আগামীতে পেঁয়াজ আমদানির কথাবার্তা চলছে।

প্রসঙ্গত, পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বগতি রোধে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) থেকে ন্যায্যমূল্যে ট্রাক সেলের মাধ্যমে টিসিবি খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করবে বলে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এতে বলা হয়, পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে এলসি মার্জিন এবং সুদের হার হ্রাসের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বন্দরে আমদানিকৃত পেঁয়াজের খালাস প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা এবং নির্বিঘ্নে পরিবহন নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, নিজেদের বাজার সামাল দিতে পেঁয়াজ রফতানির ন্যূনতম মূল্য টনপ্রতি ৮৫০ ডলার বেঁধে দিয়েছে ভারত। এ খবরে দুদিনে দেশের বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ২০ থেকে ২৫ টাকা। ঢাকার বড় বড় বাজারে এখন ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ ৭০-৭৫ টাকা, দেশি কিং নামের একধরনের পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবারও দেশি পেঁয়াজ ৫০-৫৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এআই/ এফসি

আরও পড়ুন