• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯, ০১:১৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯, ০১:১৫ পিএম

সরকার বেকায়দায় পড়ে ছাত্রলীগ নেতাদের অপসারণ করেছে : মওদুদ

সরকার বেকায়দায় পড়ে ছাত্রলীগ নেতাদের অপসারণ করেছে : মওদুদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ- ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, এই সরকারের আমলে দুর্নীতি সর্বকালের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। ছাত্রলীগ নেতারা দুর্নীতি করার কারণে সরকার বেকায়দায় পড়ে তাদের অপসারণ করেছে। 

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এইবি) আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।  

সরকারের মুখোশ খুলে গেছে উল্লেখ করে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, আজকে সরকার এমন বেকায়দায় পড়েছে যে তাদের বাধ্য হয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে অপসারণ করতে হয়েছে। কেন? টাকার জন্য, ঘুষের জন্য, তারা দুর্নীতি করেছে সেজন্য। সরকার একটা তালিকা করেছে ৫০০ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজি করে। এটা ৫০০ না ৫ হাজার বা তার চেয়ে বেশি হবে। 

তিনি বলেন, এই ছাত্রলীগ, এই যুবলীগ, টেন্ডারবাজী করে, চাঁদাবাজি করে মানুষের ওপর অত্যাচার নির্যাতন করে। এরা জমি দখল করে, এরা দোকান দখল করে এরা মানুষকে গুম করে টাকা নেয়। এটা আজকে তারা প্রমাণ করেছে।

সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে দেশ আজকে সমস্যার সম্মুখীন দাবি করে বিএনপির এই অন্যতম সিনিয়র নেতা বলেন, একটি হলো রোহিঙ্গা সংকট। এই রোহিঙ্গা সংকট এই সরকারের সৃষ্টি। এজন্য সরকারই সম্পূর্ণভাবে দায়ী। তাদের কূটনীতিক ব্যর্থতার কারণে আজকে ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের মাটিতে রয়েছে। এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাকেও দেশে ফেরত পাঠাতে পারেনি। অপরদিকে আসামের এনআরসি। ভারতের একজন নেতা বলেছেন, ‘দুই প্যাকেট খাবার দিয়ে বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হবে’। তার মানে কি? 

তিনি বলেন, আমাদের কোনো বাংলাদেশিতো আসামে নেই। তারা ভারতের নাগরিক। আমাদের দেশ থেকে আসামে কেন লোক যাবে? আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা কি আসামের চেয়ে খারাপ? আমাদের দেশের আর্থিক অবস্থা তাদের চেয়ে অনেক অনেক ভাল। কেন এখানের মানুষ আসামে যাবে? এটা একটা মিথ্যা অজুহাত তুলে কিছু মানুষকে বাংলাদেশে পাঠানোর ষড়যন্ত্র চলছে। 

আইনিভাবে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি জানিয়ে মওদুদ বলেন, আজকে এক বছর ৭ মাস তিনি জেলখানায়। একটি বানোয়াট মামলায় তাকে সাজা দেয়া হয়েছে। এ ধরনের মামলায় তার জেলখানায় থাকার কথা নয়। আইনি প্রক্রিয়ায় তার মুক্তি হবে না। তার মুক্তি হবে রাজপথের আন্দোলনে। আমরা যদি রাজপথের আন্দোলন করতে পারি তাহলে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে। সেই দিনের অপেক্ষায় আমাদের থাকতে হবে। আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। নতুন করে আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে হবে। 

এইবির আহবায়ক প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, ড্যাব মহাসচিব প্রফেসর ডা. আব্দুস সালাম, বিএনপির সাবেক সহ-দফতর সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, বিএনপির সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন প্রমুখ।

টিএস/টিএফ

আরও পড়ুন