• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯, ০২:৩৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯, ০২:৩৭ পিএম

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘে সহায়তা চাইবেন প্রধানমন্ত্রী

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘে সহায়তা চাইবেন প্রধানমন্ত্রী
বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন -ছবি : জাগরণ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে যোগ দিতে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৭ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) পরিষদের সাধারণ বিতর্ক পর্বে বাংলাদেশের পক্ষে তিনি বক্তব্য রাখবেন। বরাবরের মতো এবারও তিনি বাংলায় বক্তব্য রাখবেন।

জাতিসংঘ সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে বিশ্বের জোরাল ভূমিকা চাইবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের সাইড লাইনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হবে।

তিনি বলেন, ২২ সেপ্টেম্বর (রোববার) প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক পৌঁছাবেন। ১৭ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু হয়েছে। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হবে এ সম্মেলনে।

ড. মোমেন বলেন, জাতিসংঘের এ অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যা আলোচনায় আসবে এবং এ বিষয়ে বেশ কিছু ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। পৃথিবীর অন্যতম বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর আশ্রয়দানকারী হিসেবে রোহিঙ্গা বিষয়ে আয়োজিতব্য বিভিন্ন ইভেন্টে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এবং নিজের অবস্থান তুলে ধরা অত্যাবশ্যক।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ৭২তম অধিবেশনে প্রদত্ত ৫ দফা প্রস্তাব ও ৭৩তম অধিবেশনে পুনর্ব্যক্ত তিন দফা এখনও প্রাসঙ্গিক। উপরন্তু রোহিঙ্গা বিষয়ে বিশ্ব নেতাদের আগ্রহ, সার্বিক অবস্থান অব্যাহত রাখা এবং প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিতকরণে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির জন্য এ বিষয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের জোরালো বক্তব্য ও অংশগ্রহণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। Global Alliance for Vaccination and Immunization (GAVI)- বর্তমানে GAVI-The Vaccine Alliance নামে পরিচিত সংস্থাটি সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রীকে ‘Vaccine Hero’ সম্মাননা প্রদান করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার অত্যন্ত কনজারভেটিভ। তারা কারও কথা শোনে না। তবে আশার কথা হলো তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে রাজি হয়েছে।

তিনি বলেন, আশার কথা হলো মিয়ানমার তাদের লোকগুলোকে ফেরত নিতে রাজি হয়েছে। ১৯৭৮ কিংবা ১৯৯২ সালেও তারা আলোচনার মাধ্যমে তাদের লোকদের ফেরত নিয়েছিল। তবে এবার সংখ্যাটা অনেক বেশি। ১৯৯২ সালে ২ লাখ ৫৩ হাজার ছিল। তারমধ্যে ২ লাখ ৩০ হাজার চলে যায়। এবার ১৩ লাখ। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি। গত কয়েকবছর ধরে বিভিন্ন আলোচনার ফলে মিয়ানমার যাদের ওপর নির্ভর করে সেই চীন বা রাশিয়া এখন অনেকটাই আমাদের পক্ষে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী একবাক্যে স্বীকার করেছেন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন অত্যাবশ্যক। তারাও আমাদের সঙ্গে একমত, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হলে এই অঞ্চলে অনিশ্চয়তা দেখা দেবে।

ড. মোমেন বলেন, শুধু বাংলাদেশ মিয়ানমার নয়, এ অঞ্চলে যারা বিনিয়োগ করেছে বা যাদের অন্য কোনও উদ্দেশ্য আছে, তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চীন এ সঙ্কট নিরসনে সর্বাত্মক সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছে এবং করে যাচ্ছে।

জেডএইচ/এসএমএম

আরও পড়ুন