• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯, ০৪:৩৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯, ০৪:৫২ পিএম

পাওনা ১৩,৪৪৭ কোটি টাকা

‘গ্রামীণফোন ও রবির সঙ্গে সমঝোতায় যাছে সরকার’

‘গ্রামীণফোন ও রবির সঙ্গে সমঝোতায় যাছে সরকার’

গ্রামীণফোন ও রবির কাছে সরকারের পাওনার বিষয়ে একটি সুন্দর সমাধানের দিকে এগোনো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, ট্যাক্স পাওনার ক্ষেত্রে এ দুটি মোবাইল ফোন অপারেটরকে একটু ছাড় দিতে চাই। মামলা-ঝামেলায় আর যেতে চাই না। অপারেটরদের দায়ের করা মামলাও তারা প্রত্যাহার করবে বলে জানান মন্ত্রী। 

আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। 

এর আগে গ্রামীণফোন ও রবির কাছে সরকারের মোট পাওনা ১৩,৪৪৭ কোটি টাকা আদায়ের বিষয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনে অর্থমন্ত্রীর কক্ষে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী ছাড়াও ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, গ্রামীণ ফোনের সিইও মাইকেল ফলিসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

অর্থমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণফোনের কাছে সরকারের সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা পাওনার বিষয়টি দীর্ঘদিনের। এই সমস্যা সমাধানে আজ আমরা আলোচনায় বসেছিলাম। একটি সুন্দর সমাধানের দিকে আমরা এগুচ্ছি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে আমরা সমাধানে পৌঁছতে পারব বলে আশা রাখছি। তবে আমরা মামলার ঝামেলায় যাচ্ছি না।

তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে ট্যাক্সে আমরা একটু ছাড় দিতে চাই। এভাবেই একটা সমধানের দিকে আমরা যাচ্ছি।

মন্ত্রী আরো বলেন, গ্রামীণফোন ও রবির কাছ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বকেয়া ৪ হাজার কোটি টাকা। যেটা পাওনার বিরোধ তৈরি হয়েছে অডিটের মাধ্যমে, সেটার বিষয়ে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ দ্বিমত পোষণ করেছে। কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এটাকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছে, এটা নিয়ে এই দুই অপারেটরের সঙ্গে একটা বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। 

তিনি বলেন, এটা সর্বশেষ কোর্টে পর্যন্ত গড়ায়। একইভাবে বিটিআরসির যে পাওনা আছে সেটাও হয়েছে একটা বিরোধের ফলে। তবে বিটিআরসির প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার মধ্যে সুদ রয়েছে ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ। মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি দুটি মূলত বিটিআরসির টাকা পরিশোধে অপারগতার কথা বলছে। 

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। এখানে কেউ ঠকবেও না, বা জিতবেও না। আমরা চাই দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা সমাধান করতে। তবে সেখানে আমরা কী পরিমাণ ছাড় দেব সেটা এখনই বলা যাবে না। 

কতদিন নাগাদ এর সমাধান হতে পারে- এমন প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা খুব বেশি হলে আগামী ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারব। গ্রামীণফোন একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, তাদের ব্যবসার পরিবেশ করে দেয়ার দায়িত্ব সরকারের। সেই সহযোগিতা তাদের আমরা করব। 

এমএএম/ এফসি

আরও পড়ুন