• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯, ০৬:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯, ০৬:০৬ পিএম

বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

ভিসি নাসিরউদ্দিনকে প্রত্যাহারের সুপারিশ

ভিসি নাসিরউদ্দিনকে প্রত্যাহারের সুপারিশ
ইনসেটে বশেমুরবিপ্রবি’র উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিন

শিক্ষার্থীদের উপর নানা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে আলোচনায় আসা গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিনকে প্রত্যাহার করার সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত কমিটি। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে তোলা বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করে ভিসির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার সুপারিশসহ মোট তিনটি সুপারিশ করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয় চিঠি পাওয়া পর পরদিন ২৪ সেপ্টেম্বর ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আলমগীরকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য ৪ জন হলেন- ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম, সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাত হোসেন, ইংলিশ পরিচালক (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) মো. কামাল হোসেন এবং আইন শাখার উপ-পরিচালক মৌলি আজাদ।

কমিটি দায়িত্ব পাওয়ার পর গত ২৫ সেপ্টেম্বর (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সরজমিন পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনে গিয়ে সেখানে দুইদিন অবস্থান করেন এবং ২৭ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) ঢাকা ফিরে এসে ওই দিনই তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে ইউজিসির কাছে জমা দেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে ভিসি খোন্দকার নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে তিনটি সুপারিশ করা হয়। সেগুলো হলো- ভিসি খোন্দকার নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ উঠেছে তার প্রমাণ হয়েছে, তিনি (ভিসি খোন্দকার নাসির উদ্দিন) বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় যোগ্য নয়, তাই তাকে ভিসি পদ থেকে সরিয়ে দেয়া এবং তার বিরুদ্ধে আনা বিভিন্ন অপরাধ প্রমাণিত হওয়া সেসব বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ।

কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম বলেন, আমরা দ্রুততার সাথে তদন্ত শেষ শেষ করেছি। যেহেতু ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিত তৈরি হয়েছে, শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে-এ সকল বিষয় বিবেচনা করে আমরা দ্রুততার সাথে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, আমাদের কাছে মনে হয়েছে বর্তমান ভিসি (খোন্দকার নাসির উদ্দিন) একজন দায়িত্বহীন, দুর্নীতিবাজ, অনিয়মকারী ও নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ করেছেন।

এইচএস/টিএফ
 

আরও পড়ুন