• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০১৯, ১২:৪১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৮, ২০১৯, ০১:৪৭ পিএম

৭ দফা দাবিতে উত্তাল বুয়েট

‘বিকাল ৫টার মধ্যে ভিসিকে সশরীরে এসে জবাব দিতে হবে’

‘বিকাল ৫টার মধ্যে ভিসিকে সশরীরে এসে জবাব দিতে হবে’
বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ৮ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল - ছবি : জাগরণ

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ৭ দফা দাবিতে উত্তাল বুয়েট ক্যাম্পাস। বুয়েট শহীদ মিনারে সকাল থেকে বিক্ষোভ, সমাবেশ করছেন শিক্ষার্থীরা। ফাহাদের খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ছাত্রত্ব বাতিলের দাবিতে মিছিল করছে তারা।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ফাহাত হত্যার বিচার চেয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল থেকে আট দফা দাবি পেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে মিছিল শুরু হয়।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- ক্যাম্পাসে নোংরা ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ; খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতকরণ; ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিশ্চিতভাবে শনাক্তকৃত খুনিদের সকলের ছাত্রত্ব আজীবন বহিষ্কার; দায়েরকৃত মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের অধীনে স্বল্পতম সময়ে নিষ্পত্তি; বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কেন ৩০ ঘণ্টা অতিবাহিত হবার পরও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়নি তার জবাব সশরীরে ক্যাম্পাসে এসে আজ বিকাল ৫টার মধ্যে দিতে হবে এবং ডিএসডব্লিউ স্যার কেন ঘটনাস্থল থেকে পলায়ন করেছেন তার কারণ বিকাল ৫টার তাকে দিতে হবে; আবাসিক হলগুলোতে র‌্যাগিংয়ের নামে নির্যাতন এবং ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর সকল প্রকার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনকে জড়িত সকলের ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। একই সঙ্গে আহসানউল্লাহ হল এবং সোহরাওয়ার্দী হলের পূর্বের ঘটনাগুলোতে জড়িত সকলের ছাত্রত্ব বাতিল ১১ নভেম্বর, বিকাল ৫টার মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে; রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে আবাসিক হল থেকে ছাত্র উৎখাতের ব্যাপারে অজ্ঞ থাকা এবং ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হওয়ায় শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টকে ১১ নভেম্বর, বিকাল ৫টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে এবং মামলা চলাকালীন সকল খরচ এবং আবরারের পরিবারের সকল ক্ষতিপূরণ বুয়েট প্রশাসনকে বহন করতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত রোববার (৬ অক্টোবর) মধ্যরাতে বুয়েটের সাধারণ ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবরার ফাহাদকে শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় নিহতের বাবা মো. বরকত উল্লাহ ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েক জনকে অভিযুক্ত করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় ১০ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন-বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুস্তাকিম ফুয়াদ, উপ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিওন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, গ্রন্থনা ও গবেষণা সম্পাদক ইশতিয়াক মুন্না, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুনতাসির আলম জেমি (২১), মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির (২১), ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ (২১), মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান রবিন (২২)।

নিহত ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়। মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টায় নিজ বাসার সামনে আবরারের তৃতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় রায়ডাঙ্গা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এইচএস/একেএস

আরও পড়ুন