• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০১৯, ১২:২০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৯, ২০১৯, ০২:৪৭ পিএম

পূর্ত মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি

দুর্নীতির ১০টি উৎস চিহ্নিত করে দুদকের ২০ সুপারিশ 

দুর্নীতির ১০টি উৎস চিহ্নিত করে দুদকের ২০ সুপারিশ 
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের কাছে সুপারিশমালা জমা দিচ্ছেন দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান- ছবি: জাগরণ

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অধিদপ্তরে দুর্নীতির ১০টি উৎস চিহ্নিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইসঙ্গে এই দুর্নীতি বন্ধে দুদক এ বিষয়ে ২০টি সুপারিশমালা জমা দিয়েছে মন্ত্রণালয়ে।

বুধবাবার (৯ অক্টোবর) সকালে এ বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী রিপোর্টের প্রফাইল গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের কাছে জমা দেন দুদক কমিশনারের ড. মোজাম্মেল হক খান।

দুদকের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘দুদকের এই রিপোর্টকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিবো। প্রয়োজন হলে এর তদন্তে কমিটি গঠন করবো। দুদক রিপোর্টে যা উল্লেখ করেছে, তা চুইংগামের মত টেনে আরো লম্বা করে তদন্ত করা হবে। এই মন্ত্রণালয়ের অধীনস্হ কোন কর্মকর্তা-কর্মচারি দুর্নীতি-অপরাধে সংশ্লিষ্ট থাকলে ছাড় পাবেন না। 

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এই প্রথম এফ আর টাওয়ারের আগুনের ঘটনা তদন্তের পর ৯৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এটা এজন্য করেছি, যে আমি নিজে দুর্নীতি করবো না, কাউকে করতেও দেবো না।

রিপোর্টের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি- দুদকের এই গাইড লাইনের আদলে আমরা সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি আমরা অনুস্মরণ করছি।’ 

তিনি আরও বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সরকারের চলমান যে কোন প্রকল্পের প্রয়োজনে সময় বাড়াবো, তবে কোনো অবস্থাতেই ব্যয় বাড়াবো না। 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শ ম রেজাউল করিম বলেন, আমরা জি কে শামীমকে কোন কাজ দেইনি, দিয়েছি তার প্রতিষ্ঠানকে। তার প্রতিষ্ঠান সরকারি যে কাজ করছে, সেগুলোতে কোন দুর্নীতি আছে কি-না, তা খতিয়ে দেখা হবে। কীভাবে কাজ পেয়েছে, সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়, এতে দুর্নীতি হয়ে থাকলে তা দেখবে দুদক এবং পুলিশ। 

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমিও শুনেছি, জি কে শামীমের কয়েকটি চলমান প্রজেক্টের কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তারা অজুহাত তুলেছে, তাদের ব্যাংক এ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। তবে জি কে শামীমের প্রতিষ্ঠান যদি কাজ না করে, তবে চলমান সব প্রজেক্টের বাকি কাজের জন্য আবার টেন্ডার করে কাজ সমাপ্ত করা হবে।

এমএএম/টিএফ

আরও পড়ুন