• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০১৯, ০২:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৯, ২০১৯, ০২:২৬ পিএম

বুয়েট ভিসির পদত্যাগ চায় এ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন

বুয়েট ভিসির পদত্যাগ চায় এ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন
বুয়েট এ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী- ছবি: জাগরণ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের পদত্যাগসহ ৭ দফা দাবি তুলেছে বুয়েট এ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী এ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে এ দাবি তুলে ধরেন।

বুধবার (৯ অক্টোবর) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একাত্মতা ঘোষণা করে ভিসির পদত্যাগ দাবি করেন।

বুয়েট এলাইমাই এর ৭ দফা দাবিগুলো হলো-
১. আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকলকে অনতিবিলম্বে বিশেষ বিচার ট্রাইব্যুনালের আওতায় এনে দ্রুততম সময়ে বিচার কার্যকর।
২. হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকল ছাত্রকে অনতিবিলম্বে বুয়েট থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা।
৩. বুয়েট ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক দলসমূহের অঙ্গ সংগঠন ভিত্তিক ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মচারীদের সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড অবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।
৪. বুয়েট প্রশাসনকে ঐতিহ্যের পরিপন্থি যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব ও প্রভাব মুক্ত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
৫. অতীতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অপরাধ কার্যক্রমের তদন্ত, বিচার ও শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে উপাচার্যসহ বুয়েট প্রশাসনের ধারাবাহিক অবহেলা ও ব্যর্থতা এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের মদদ জুগিয়েছে। অবিলম্বে উপাচার্যের অপসারণসহ প্রশাসনের আমূল পরিবর্তন করে এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের মান অতীতের মতো সমুন্নত রাখতে সুযোগ্য, নির্ভীক ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের পদায়ন করা।
৬. র‍্যাগিং এবং অন্যান্য অজুহাতে ছাত্র-ছাত্রী নির্যাতন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। ক্যাম্পাসে সকল ছাত্রের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৭. আবরার হত্যাসহ ইতোপূর্বে সংঘটিত অন্যান্য ছাত্র নির্যাতনের ঘটনাবলীর বিচারকার্য সম্পন্ন করে, উপযুক্ত শাস্তি প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে ক্যাম্পাসে আরবারের জানাজায় তিনি ছিলেন না। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।পরে মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে তিনি সশরীরে ছাত্রদের সামনে আসেন তিনি।

সোমবার উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম তার কার্যালয়ে যান। সেখানে তিনি শিক্ষকদের সঙ্গে একটি সভায়ও অংশ নেন। তবে যেখানে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেই শের-ই বাংলা হলে তিনি যাননি। এমনকি প্রকাশ্যেও দেখা যায়নি তাকে। তার প্রকাশ্যে না আসার বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ।

এইচএস/টিএফ

আরও পড়ুন