• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০১৯, ০৩:৫২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৪, ২০১৯, ০৬:১২ পিএম

পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবস্থাপনা জাতীয় নীতি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন   

পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবস্থাপনা জাতীয় নীতি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন   
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম -ছবি : জাগরণ

পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে ‘তেজস্ক্রিয়া বর্জ্য এবং ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবস্থাপনা-বিষয়ক জাতীয় নীতি’ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ ছাড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল আইন ও বাংলাদেশ বাতিঘর আইন ২০১৯ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলনে কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এসব তথ্য জানান। এর আগে সকাল ১০টায় তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আজকের বৈঠকে তিনটি আইনের মধ্যে দুটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আর একটির খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে ‘তেজস্ক্রিয়া বর্জ্য এবং ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবস্থাপনা-বিষয়ক জাতীয় নীতি’ এর খসড়ার অনুমোদনের ফলে কীভাবে পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হবে সেটা এই নীতিমালায় উল্লেখ আছে। যেসব দেশ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি সংগ্রহ করা হবে, সেসব দেশেই ফেরত পাঠানো হবে ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানি। চুক্তি অনুযায়ী রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের বর্জ্য নিয়ে যাবে রাশিয়া। তারাই সেদেশে নিয়ে এগুলো ধ্বংস করবে।

তিনি বলেন, বর্জ্য উৎপাদনকারী কারা কারা আছেন, তাদের উৎপাদিত তেজষ্ক্রিয় বর্জ্য ও ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানি অর্থাৎ যে দূষণ করবে, তাদের অর্থায়নেই এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। এটা আন্তর্জাতিক নীতি। যে দূষণ করবে তাকে টাকা দিয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে।

মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, পারমাণবিক জ্বালানির পরিমাণ যুক্তিসঙ্গতভাবে সীমিত রাখতে হবে। ত্রুটিপূর্ণ জ্বালানি সিল করা বাক্সে সংরক্ষণসহ পরমাণু চুল্লির রিঅ্যাকটর কোরের পরিচালন সময়কালে যেকোনো সময় আনলোড করতে হবে, এমন সম্ভাবনা বিবেচনা রেখে ব্যবহৃত জ্বালানি সংরক্ষণ স্থাপনা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কমপক্ষে ১০ বছর যেন ব্যবহৃত জ্বালানি সংরক্ষণ করা যায়। এটা যারা করবে তাদের জন্য বাইন্ডিং। নীতিমালায় পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার কথা উল্লেখ রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন একটা এজেন্সি নিয়োগ করবে। এর নাম- তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কোম্পানি। অর্থাৎ আরডব্লিউএমসি নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করবে। এদের বিশেষজ্ঞ থাকবে, তারাই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ করবে। সারা বাংলাদেশে যত এটমিক এনার্জির বর্জ্য পাওয়া যাবে সেগুলো ব্যবস্থাপনা তারা করবে। 

এমএএম/একেএস/ এফসি

আরও পড়ুন