• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০১৯, ০৫:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৪, ২০১৯, ০৬:২১ পিএম

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন 

ব্যক্তিগত বৈধ অস্ত্রে অন্যের নিরাপত্তা আর নয়

ব্যক্তিগত বৈধ অস্ত্রে অন্যের নিরাপত্তা আর নয়

কারো ব্যক্তিগত বৈধ অস্ত্রে আর অন্যের নিরাপত্তা দেয়া যাবে না- দেশজুড়ে শুদ্ধি অভিযানের পর অবশেষে সরকার এই প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকালে এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে জানায়, ‘কেউ লাইসেন্স করা ব্যক্তিগত বৈধ অস্ত্র অন্যের নিরাপত্তায় ব্যবহার করলে কিংবা প্রকাশ্যে তা প্রদর্শন করলে আইনানুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা, ২০১৬’ এর অনুচ্ছেদ ২৫ (গ) অনুযায়ী আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সধারী কোনো ব্যক্তি নিজের জন্য ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বা সম্পত্তি রক্ষার জন্য অস্ত্রধারী প্রহরী হিসেবে নিয়োজিত হতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে তার অস্ত্রের লাইসেন্স তাৎক্ষণিকভাবে বাতিলযোগ্য হবে।’ নীতিমালার এই বিধান লঙ্ঘন করে কোনো কোনো ব্যক্তি ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত নিজের নামের আগ্নেয়াস্ত্র বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থায় নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে বা অন্য ব্যক্তির দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।

নীতিমালার অনুচ্ছেদ ২৫ (ক) অনুযায়ী ‘কোনো ব্যক্তি স্বীয় লাইসেন্সে এন্ট্রিকৃত অস্ত্র আত্মরক্ষার নিমিত্তে নিজে বহন/ব্যবহার করতে পারবে। তবে অন্যের ভীতি/বিরক্তি উদ্রেক করতে পারে এরূপভাবে অস্ত্র প্রদর্শন করা যাবে না।’ নীতিমালা লঙ্ঘন করে কোনো কোনো ব্যক্তি প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে জনমনে ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টির প্রয়াস চালাচ্ছেন।

এই অবস্থায় ‘অস্ত্র আইন, ১৮৭৮’ কঠোরভাবে অনুসরণ এবং বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার রোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরকে বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে বা অন্য ব্যক্তির দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োজিত হওয়া থেকে বিরত থাকা এবং প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন না করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয় প্রজ্ঞাপনে। অন্যথায় আদেশ লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রাজধানীসহ সারা দেশে শুদ্ধি অভিযানে আটক জি কে শামীম, খালেদ মাহামুদ ভূঁইয়াসহ অনেক যুবলীগ (বহিস্কৃত) নেতা আটক হন তাদের অসংখ্য ব্যক্তিগত গানম্যান নিয়ে। তাদের কারো কাছে ৭ থেকে ৮টির মতো বৈধ অস্ত্রও পাওয়া যায়। এসব অস্ত্রের বেশিরভাগ ছিল গানম্যানের নিজস্ব। যা তাদের (গানম্যানের) নিরাপত্তায় ব্যবহার হওয়ার কথা। কিন্তু হয়েছে তার উল্টো। নিজের ব্যক্তিগত অস্ত্রে অন্যের নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে। সরকার এ কারণেই এই ‘কারো ব্যক্তিগত অস্ত্রে অন্যের নিরাপত্তা দেয়া যাবে না’ বলে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। 

এমএএম/ এফসি