• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০১৯, ১০:৩৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৬, ২০১৯, ১০:৩৮ এএম

অধ্যাপক ডা. হাদীর একাদশ মৃত্যুবার্ষিকী আজ

অধ্যাপক ডা. হাদীর একাদশ মৃত্যুবার্ষিকী আজ
অধ্যাপক ডা. এমএ হাদী

এদেশের খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রাক্তন উপাচার্য এবং উচ্চতর চিকিৎসা শিক্ষা বিস্তারের পুরধা ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ডা. এমএ হাদীর ১২তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ। ১৫ অক্টোবরের (বুধবার) এদিনে তিনি ইন্তেকাল করেন।

২০০৭ সালের ১৬ অক্টোবর ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৬৮ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন তিনি। অধ্যাপক ডা. এমএ. হাদী ৩১শে ডিসেম্বর ১৯৪১ খ্রিষ্টব্দে বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানাধীন শিলাশী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন মরহুম মৌলভী মো. আসমত আলী ও মাতা মরহুমা হালিমা খাতুন।  

মরহুম অধ্যাপক ডা.  হাদী তার শিক্ষা জীবন শুরু করেন গফরগাঁও বাতেনিয়া জুনিয়র মাদ্রাসায়। ১৯৫৬ সালে গফরগাঁও ইসলামিয়া হাই স্কুল হতে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৫৯ সালে ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজ হতে  প্রথম বিভাগে আইএসসি পাস করেন। ১৯৬৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হতে এমবিবিএস, ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স এন্ড সার্জন্স হতে এফসিপিএস সার্জারী, ১৯৯৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অব সার্জন্স হতে ইউরোলজিতে এফআইসিএস, ১৯৯৫ সালে রয়েল কলেজ অব ফিজিসিয়ান্স, এডিনবার্গ হতে এফআরসিপি ডিগ্রী লাভ করেন। এছাড়াও ১৯৯৯ ও ২০০৫ সালে পাকিস্তানের কলেজ অব ফিজিসিয়ান্স এন্ড সার্জন্স ও গ্ল্যাসগোর রয়েল কলেজ অব ফিজিসিয়ান্স এন্ড সার্জনস হতে যথাক্রমে এফসিপিএস ও এফআরসিএস সার্জারী ডিগ্রী লাভ করেন। 

শিক্ষাজীবনের প্রতিটি পরীক্ষায় তিনি ছিলেন মেধা তালিকার শীর্ষে। তেমনি ব্যক্তি জীবনেও ছিলেন অত্যন্ত অমায়িক ও সদালাপী। একজন শিক্ষক হিসাবে তিনি সফল ছিলেন। একজন স্বামী ও পিতা হিসাবেও তিনি ছিলেন আদর্শ। তার সহধর্মিনী মিসেস খালেদা বেগম একজন শিক্ষিকা। স্বামী এমএ হাদীর প্রতিষ্ঠার পেছনে তার অবদান উল্লেখ্য করার মতো। তাদের দুই মেয়ে, দুই ছেলে মধ্যে বড় ছেলে ডা. হাছান ইমাম আল হাদী, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে কলোরেক্টাল সার্জারীতে কনসালটেন্ট সার্জন হিসেবে কর্মরত ও কনিষ্ঠ ছেলে ডা. হোসেন ইমাম আল হাদী। সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক, কান ও গলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু বর্তমান মহাজোট সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে এই তরুণ মেধাবি চিকিৎসক চাকুরিচুত্য হয়ে বিদেশে কর্মরত আছেন।

তিনি অবসর গ্রহণের পর পরই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) আহ্বায়ক এবং পরে এর সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

বিএসএমএমইউ’র চিকিৎসা সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি কোলরেক্টাল, প্লাস্টিক সার্জারী, জরুরি হৃদরোগ ও জরুরি অর্থপেডিকস্ বিভাগ, চালুসহ প্রতিটি বিভাগে সুপার স্পেসালাইজড ইউনিট চালুর ব্যবস্থা করেন এবং দেশ-বিদেশে অবস্থানরত অভিজ্ঞ স্বনাম ধন্য বাংলাদেশি চিকিৎসকদের এই প্রতিষ্ঠানে যোগদানে উৎসাহিত করেন এবং নিয়োগ দেন ডা. এমএ হাদী। 

বিএসএমএমইউ’র সহযোগী অধ্যাপক, ইউরোলজী বিভাগের সভাপতি এবং বিএসএমএমইউ শাখা ড্যাব সভাপতি ডা. মো. সাইফুল ইসলাম সেলিম ড্যাবের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এমএ হাদীর মৃত্যু বার্ষিকীতে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীবৃন্দের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এ বাদ যোহর খতমে কোরআন ও দোয়া মহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়ায় সামিল হওয়ার জন্য সকল শুভাকাঙ্ক্ষিদের বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে। 


টিএস/টিএফ

আরও পড়ুন