• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০১৯, ১০:৫৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৬, ২০১৯, ১১:২১ এএম

মুন্সিগঞ্জের ১৩টি সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

মুন্সিগঞ্জের ১৩টি সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

মুন্সিগঞ্জ জেলার মোট ১৩টি সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সেতুর উদ্বোধন করেন।

১৩টি সেতু হলো- টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পাঠানবাড়ি সেতু, আলদি বাজার সেতু, শ্রীনগর উপজেলার বেলতলী সেতু, ছনবাড়ী সেতু, শ্রীনগর বাজার-১ সেতু, শ্রীনগর বাজার-২ সেতু, আটপাড়া সেতু, হাসাড়া-১ সেতু, হাসাড়া-২ সেতু, সাতগাঁও সেতু, সিরাজদিখান উপজেলার ইমামগঞ্জ সেতু, রসুনিয়া সেতু-১, রসুনিয়া-২ সেতু। 

জানা যায়, মুন্সিগঞ্জ সড়ক বিভাগেরর অধীন ঝুঁকিপূর্ণ সেতুসমূহ স্থায়ী কংক্রিট সেতু দ্বারা প্রতিস্থাপন (১ম পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় এ ১৩টি সেতু। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৯৩৯.২১ লাখ টাকা (জি ও বি)। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ডিসেম্বর ২০১৬ সাল হতে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত। জি ও বি এর অর্থায়নে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর এ প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা। ১৩টি সেতুর দৈর্ঘ ৫২১.২৬ মিটার ও নির্মাণ ব্যয় ৮৮৬২.১৫৪ লাখ টাকা।

সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুন্সিগঞ্জ সড়ক বিভাগাধীন বিভিন্ন সড়কে ৭৮টি ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতু ও ১৬টি আরসিসি/জরাজীর্ণ সরু সেতুসহ সর্বমোট ৯৪টি সেতুর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ২৫টি সেতু নতুনভাবে আরসিসি/পিসি গার্ডার সেতু দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে গৃহীত ‘মুন্সীগঞ্জ সড়ক বিভাগাধীন ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি/আরসিসি সেতু সমূহ স্থায়ী কংক্রিট সেতু দ্বারা প্রতিস্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আরও ১৩টি সেতুর নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং ৮টি সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। ২০২০ সালের মধ্যে মুন্সিগঞ্জ সড়ক বিভাগাধীন কোন ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি/আরসিসি জরাজীর্ণ সেতু বিদ্যমান থাকবে না। 

সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুর রহমান জানান, ১৩টি সেতুর কাজ শেষ হয়েছে চলতি বছরের জুন মাসে। এছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় আরো ৮টি সেতুর কাজ চলমান। যার কাজ সম্পন্ন হতে সময় লাগবে ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রকল্পগুলো দেখানো হয়। পরে তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার সুবিধাভোগী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। 

টিএফ
 

আরও পড়ুন