• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০১৯, ০৫:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৮, ২০১৯, ০৬:২৯ পিএম

 ‘হৃদয়মাঝে শেখ রাসেল’ গ্রন্থের প্রদর্শনী উদ্বোধন

 ‘হৃদয়মাঝে শেখ রাসেল’ গ্রন্থের প্রদর্শনী উদ্বোধন
‘হৃদয়মাঝে শেখ রাসেল’ শীর্ষক স্মারকগ্রন্থের প্রদর্শনী ঘুরে দেখছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান-ছবি : জাগরণ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৬তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘হৃদয়মাঝে শেখ রাসেল’ শীর্ষক স্মারক গ্রন্থের প্রদর্শনী উদ্বোধন করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিকালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সংলগ্ন শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং ফেডারেশন প্রাঙ্গণে গ্রন্থটির প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন। এ সময় রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের সভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃনন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) তার কার্যালয়ে স্মারকগ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন। এ সময় গ্রন্থটির উপদেষ্টা সম্পাদক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সম্পাদক কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত ও প্রকাশক ইয়াসিন কবীর জয় উপস্থিত ছিলেন। 

৯২ পৃষ্ঠার গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে জয়ীতা প্রকাশনী। শেখ রাসেলকে নতুন করে চেনার সুযোগ রয়েছে গ্রন্থটিতে।  

ঘাতক কাঁটায় ঝরে যাওয়া ফুল শেখ রাসেলকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন পঁচাত্তরের হত্যাযজ্ঞ থেকে বেঁচে যাওয়া তার বড় দুই বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। রাসেলকে নিয়ে স্মৃতিমধুর লেখায় মাতৃসম বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হৃদয় খুঁড়ে খুঁটিনাটি বহু প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন।

বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিখ্যাত দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের অনুরাগী। তার নাম অনুসারে ছোট ছেলেটির নাম রেখেছিলেন রাসেল। কত আশা ছিল তার ছেলে বড় হয়ে বিখ্যাত হয়ে উঠবে একদিন। কত সাধই না মানুষের অপূর্ণ থেকে যায়। গ্রন্থটিতে শেখ রাসেলকে নিয়ে আরও একটি মমতামাখা রচনা থাকছে ছোট বোন শেখ রেহানার। শেখ রেহানা সে সময় বড় বোনের সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন। রাসেলেরও জার্মানিতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে সময় তার অসুখ করায় মা যেতে দিতে রাজি হন নি।

শেখ রাসেলকে নিয়ে এই দুটি লেখা ছাড়াও থাকছে কথাশিল্পী রশীদ হায়দারের একটি লেখা। এই তিনটি লেখাই সঙ্কলিত। এই গ্রন্থের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক শেখ রাসেলের দুর্লভ আলোকচিত্রগুলো। শেখ রাসেলের হাতে গোনা কয়েকটি ছবিই এত দিন দেখা গেছে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা বা সাময়িকীতে। তার একেবারে প্রথম দিকের ছবির অ্যালবামটি হারিয়ে গেছে, যে কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার লেখায় উল্লেখ করেছেন।

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে প্রায় সব সময় ছায়ার মতো থেকেছে শিশুটি। বাবা রাষ্ট্র পরিচালনার অতি ব্যস্ততার ভেতরেও স্নেহের ছোট ছেলেটিকে সময় দেয়ার চেষ্টা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সামাজিক ও পারিবারিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান, রাষ্ট্রীয় অতিথিদের অভ্যর্থনা বা বিদেশ সফরকালে শেখ রাসেলও তার সঙ্গে ছিলেন। বিশেষ করে জাপান সফরে শেখ রেহানা ও শেখ রাসেল বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন। জাপান সফরের অনেক দুর্লভ ছবি পাওয়া গেছে সম্প্রতি। এ ছাড়া আছে কিছু পারিবারিক মুহূর্তের ছবি। ছবিগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে পিআইডির আর্কাইভস থেকে। সব মিলিয়ে শতাধিক আলোকচিত্রের সন্নিবেশ করা হয়েছে এই গ্রন্থে। ফলে পাঠকরা শেখ রাসেলের পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের এই দুর্লভ ছবিগুলো দেখার সুযোগ পাবেন।

হৃদয়মাঝে শেখ রাসেল-এর সম্পাদনা, প্রচ্ছদ ও অঙ্গ-পরিকল্পনা করেছেন শাহরিয়ার খান বর্ণ।

শেখ রাসেলের ৫৬তম জন্মদিন উপলক্ষে দিনভর রোলার স্কেটিংয়ের আয়োজন করে ফেডারেশন। খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি। এ সময় সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, যুব ও ক্রীড়া সচিব আখতার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতিত্ব করেন রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। 

টিএস/এসএমএম

আরও পড়ুন