• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০১৯, ০৩:০৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২১, ২০১৯, ০৩:০৯ পিএম

ইলিশ খেতে না পেয়ে আফসোস তসলিমার

ইলিশ খেতে না পেয়ে আফসোস তসলিমার

কিছুদিন আগেই বেনাপোল দিয়ে ভারতে ৫০০টন ইলিশ রফতানি করেছে বাংলাদেশ। এমন খবরে বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন নির্বাসিত বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন। কলকাতায় বসে স্বদেশী ইলিশের স্বাদ নিতে অধীর আগ্রহে নাকি অপেক্ষায় ছিলেন এই লেখিকা। কিন্তু বিধি বাম। সেই ইলিশও নাকি তিনি খেতে পাননি। বলা ভালো, বাজারে গিয়ে কিনতে পারেননি।

বেসরকারি একটি চ্যানেলের খবরে প্রকাশ, পদ্মার ইলিশ খেতে না পেয়ে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে বেশ আফসোস প্রকাশ করলেন তিনি। স্ট্যাটাসে ভারতে বাংলাদেশি ইলিশের চড়া দাম এবং তা পরে বাজার থেকে উধাও হয়ে যাওয়ায় বিষয়টি উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তসলিমা।

ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সততা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

ইলিশ সংক্রান্ত তসলিমা নাসরিনের ফেসবুক স্ট্যাটাস

তসলিমা নাসরিনের সেই স্ট্যাটাস—

‘৫০০ টন ইলিশ যে বাংলাদেশ পাঠালো পশ্চিমবঙ্গে, সেই মাছের চেহারা কেউ কি দেখেছে? সব মাছ শুনেছি বর্ডারের কাছেই পঁচে পড়েছিল। কারণ, পশ্চিমবঙ্গের কারা ট্রাক থেকে মাছ নামাবে, এ নিয়ে নাকি লড়াই চলছিল। মীমাংসাও হয়নি, মাছও নামানো হয়নি।

আবার শুনি, পঁচে-টচে যায়নি। ইলিশ ঠিকই কলকাতায় এসেছে। ৪০০ টাকার ইলিশ ২,১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে সাত দিন। এরপর কলকাতার বাজার থেকে ইলিশ উধাও। আড়তদাররা নাকি সব লুকিয়ে রেখেছে, পরে ৩,৫০০ টাকায় পদ্মার ইলিশ বিক্রি করবে।

বাহ! বাঙালি ব্যবসা ভালো জানে তাহলে! মিষ্টির বিশ্বব্যাপী ব্যবসাটা কী কারণে তবে করতে পারলো না! কোথাকার ভুজিয়াওয়ালা হলদিরাম নিয়ে নিল ব্যবসাটা! ব্যবসা করতে এলে শুধু কুবুদ্ধি থাকলে হয় না, কিছুটা সুবুদ্ধিও থাকতে হয়। দিল্লিতে ৫০০ টন ইলিশের একটিও এসে পৌঁছোয়নি। এর কোনও মানে হয়?

গুজরাটের, উড়িষ্যার, বার্মার, কোলাঘাটের, ডায়মন্ড হারবারের ইলিশ খেয়ে খেয়ে ক্লান্ত। পদ্মার ইলিশ কতকাল খাইনি! পদ্মার ইলিশ না খেলে সত্যিকার ইলিশ খাওয়া হয় না।’

এসএমএম