• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০১৯, ০৩:২৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২৩, ২০১৯, ০৩:২৬ পিএম

যে কারণে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নির্মাণ হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু মানমন্দির’

যে কারণে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নির্মাণ হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু মানমন্দির’

কর্কট ক্রান্তি এবং ৯০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমার ছেদবিন্দুটি পড়েছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায়। এ কারণে ভাঙ্গায়ই নির্মাণ করা হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু মানমন্দির’।যদিও ‘বঙ্গবন্ধু মানমন্দির’ এ নামটি পরিবর্তন হতে পারে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির তৃতীয় বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।

জানা যায়, পৃথিবীতে তিনটি পূর্ব পশ্চিম বিস্তৃত রেখা আছে। এগুলো হলো- কর্কট ক্রান্তি, মকর ক্রান্তি এবং বিষুব রেখা। ঠিক একইভাবে চারটি উত্তর দক্ষিণ বিস্তৃত রেখা আছে। এগুলো হলো শূন্য ডিগ্রি, ৯০ ডিগ্রি, ১৮০ ডিগ্রি এবং ২৭০ ডিগ্রি দ্রাঘিমা। চারটি উত্তর-দক্ষিণ রেখা এবং তিনটি পূর্ব-পশ্চিম রেখা, সব মিলিয়ে ১২ জায়গায় ছেদ করেছে। ১২টি বিন্দুর ১০টি বিন্দুই পড়েছে সাগরে মহাসাগরে। এর মধ্যে শুধু দুইটি ছেদবিন্দু পড়েছে স্থলভাগে। এর একটি পড়েছে সাহারা মরুভূমিতে আর অন্য বিন্দুটি বাংলাদেশে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে কর্কট ক্রান্তি এবং ৯০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমার ছেদবিন্দুটি পড়েছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায়। এ কারণে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বঙ্গবন্ধুর নামে ‘মানমন্দির’ নির্মাণ করা হচ্ছে। কয়েক মাস আগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেন লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

জানা গেছে, ঢাকার অদূরে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ‘বঙ্গবন্ধু মানমন্দিরে’র নির্মাণ কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। তবে এখন নির্মাণ পর্যায়েই নামটি পরিবর্তন করা হতে পারে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে ভাবনা-চিন্তার মধ্যে রয়েছে। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আ ফ ম রুহুল হক জানান, বৈঠকে বঙ্গবন্ধু মানমন্দির এবং নির্মাণাধীন ও ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস ইনমাস প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা হয়।

কমিটি ‘বঙ্গবন্ধু মানমন্দির’ দ্রুত শেষ করার তাগিদ দিয়েছে। তবে মন্ত্রণালয় বলছে এই প্রকল্পের নাম পরিবর্তনের চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। তবে কমিটি এ ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত দেয়নি।

বৈঠকে জানানো হয়, বর্তমানে দেশের ৮টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে (ইনমাস) প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। কমিটি ইনমাস প্রকল্পের অগ্রগতি আরও গতিশীল ও মানসম্মত করার জন্য বিশেষজ্ঞের মতামত নেয়ার পরামর্শ দেয়।

বৈঠকে ভবিষ্যতে নতুন প্রজেক্ট তৈরির সময় প্রয়োজনীয় জনবলসহ প্রজেক্ট পেপার তৈরির ওপর কমিটি গুরুত্বারোপ করেন।

কমিটির সভাপতি আ ফ ম রুহুল হক ছাড়াও কমিটির সদস্য ইকবালুর রহিম, হাবিবে মিল্লাত, মোজাফফর হোসেন, সেলিমা আহমাদ এবং হাবিবা রহমান খান বৈঠকে অংশ। এ সময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

এইচএস/এসএমএম

আরও পড়ুন