• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০১৯, ০৪:৪৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৬, ২০১৯, ০৪:৪৬ পিএম

রেসিডেন্সিয়ালের শিক্ষার্থী

আবরারের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড আখ্যায়িত করে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ 

আবরারের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড আখ্যায়িত করে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ 
মানববন্ধনে ঢাকা রেসিডেন্সিয়ালের সাবেক শিক্ষার্থীরা

ঢাকা রেসিডেন্সিয়ালের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরারের (১৫) মৃত্যুর ঘটনাকে হত্যাকাণ্ডে আখ্যায়িত করে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক শিক্ষার্থীরা। এ সময় সাবেক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রেসিডেন্সিয়ালের বর্তমান শিক্ষার্থী ও অবিভাবকরা একাত্মতা প্রকাশ করেন।

বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গেটের সামনে ও মেইন সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

মানববন্ধনে সাবেক শিক্ষার্থীদের পক্ষে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অল্ড রেমিয়ান্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, ১ নভেম্বর কলেজের মাঠে কী ঘটেছিল তা আপনারা সবাই জানেন। সেদিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে যখন  কর্মসূচি শেষের দিকে তখন হঠাৎ আবরারের চিৎকার শোনা যায়। পরে দেখা যায়, আবরার মাটিতে পড়ে আছে। সে বলছে, আমার বুকে অনেক ব্যাথা করছে। সবাই ওকে তুলে মাঠের এক পাশে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল। চিকিৎসকরা আবরারের অবস্থা খারাপ দেখে মহাখালী ইউনিভার্সেল হাসপাতালে (সাবেক আয়েশা মেমোরিয়াল হসপিটালে) নিয়ে গেলেন।

তিনি আরও বলেন, ওই সময় স্কুলে কর্তৃপক্ষ ছিল, পুলিশ উপস্থিত ছিল। চিকিৎসকরা কাউকেই জানাননি। তারা বাচ্চার গার্ডিয়ান, স্কুল কর্তৃপক্ষ কারও সঙ্গে যোগাযোগ না করে আয়েশা মেমোরিয়াল নিয়ে গেলেন। উনারা যখন বুঝলেন বাচ্চার অবস্থা খারাপ, তখন পাশের সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে নিতে পারতেন। কিন্তু তা না করে নিয়ে গেলেন মহাখালীতে। ফলে বাচ্চাটি মারাই গেল।

তিনি বলেন, আবরার মারা গেছে। কিন্তু আমাদের কথা হচ্ছে, তাকে তাৎক্ষণিকভাবে যদি মেডিকেলে নেয়া হতো তবে এমন ঘ্টনা নাও ঘটতে পারত। কাউকে ইনফরমেশন না দিয়ে তারা নিজেদের ইচ্ছামতো কাজ করেছে। কিন্তু এখানেই ঘটনা শেষ নয়। তারা বিষয়টি চেপে রেখে অনুষ্ঠান চালিয়ে গেছেন। স্কুলের অন্য এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জানালে তা সামনে আসে।

এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে মশিউর বলেন, ময়না তদন্ত না করেই মৃতদেহ তার গ্রামেরবাড়ি পাঠিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আর এই কাজগুলো করা হয়েছে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য। পরের দিন একটি দৈনিক নিউজ করেছে, এটি নিছক দুর্ঘটনা। কিন্তু আমরা এটিকে মোটেও দুর্ঘটনা বলতে চাই না। আমরা বলতে চাই, আবরারকে খুন করা হয়েছে। এটি একটি হত্যাকাণ্ড। আমরা চাই ঘটনার সঠিক সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হোক।

তিনি বলেন, আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আগে আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী আয়োজকদের কাছে অভিযোগ করেছিল যে, তারা পায়ে কারেন্টের শক পেয়েছে। কিন্তু তাদের টিম তখন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তারা কোনো অবস্থায় দায়িত্বশীল ছিল না। আগে কয়েকজন অভিযোগ দিলেও তাদের টনক নড়েনি। তাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

গত ১ নভেম্বর বিকালে ঢাকা মডেল কলেজের রেসিডেন্সিয়াল ক্যাম্পাসে দৈনিক প্রথম আলোর সাময়িকী কিশোর আলোর একটি অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় নাইমুল আবরার (১৫)। শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় আয়োজকদের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে আসছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সংশ্লিষ্টরা।

এইচএম/একেএস

আরও পড়ুন