• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০১৯, ০৬:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৭, ২০১৯, ০৬:১১ পিএম

সংসদে প্রধানমন্ত্রী

অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন মঈনুদ্দিন খান বাদল

অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন মঈনুদ্দিন খান বাদল

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদে নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, মঈনুদ্দিন খান বাদল ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান রয়েছে। তিনি সব সময় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি শান্তিতে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি যখন ভাষণ দিতেন তখন প্রত্যেকটি মানুষের হৃদয়ে দাগ কেটে যেত।

বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের কার্যকরী সভাপতি মঈনুদ্দিন খান বাদল এমপির মৃত্যুতে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে আনা শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় প্রধামন্ত্রী ছাড়াও মরহুম মঈনুদ্দীন খান বাদলের ওপর আলোচনায় অংশ নেন- বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, মহিউদ্দীন খান আলমগীর, জাপা মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা, আনিসুল ইসলাম মাহম্মুদ, শাজাহান খান, আ স ম ফিরোজ, আবুল কালাম আজাদসহ আরও অনেকে।

এর আগে তার সম্মানে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এর পরমরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত শেষে সংসদ সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।

সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ী চলতি সংসদের কোনও এমপি মারা গেলে অধিবেশন শুরুর দিন এভাবে মুলতবি করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মঈনুদ্দিন খান বাদল কথা বলতেন এলাকার উন্নয়নের জন্য। সব সময় তিনি সক্রিয় ছিলেন। তার মৃত্যুতে তার এলাকাবাসীর ক্ষতি হয়েছে। সাথে সাথে রাজনীতির অঙ্গনে আমরা যারা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করেছি, আমরা যারা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি, এমনকি সেই আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন নিয়ে ছয় দফা আন্দোলন, উত্তরা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার আন্দোলন- প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছাত্রলীগের একজন কর্মী ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি জাসদে যোগ দেন। আমরা যখন জোট গঠন করি তখন আমাদের সঙ্গে তিনি সক্রিয় ছিলেন। আন্দোলন, সংগ্রামে, রাজপথে এবং এই সংসদে তার সঙ্গে একসাথে কাজ করার সুযোগ হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক চিন্তা চেতনায় তিনি যথেষ্ট শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছেন। তার মৃত্যু আজকে আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি করেছে।মাত্র দুই দিন আগেই আমি তার খোঁজ নিয়েছি। তিনি অসুস্থ ছিলেন তার স্ত্রী সবসময় আমাকে মেসেজ পাঠাতেন, খবর জানাতেন। দুদিন আগেও আমি তার কাছ থেকে মেসেজ পাই। আজকে সকালে যখন খবরটা পেলাম এটা সত্যিই একটি বিরাট ধাক্কা লেগে গিয়েছিল। কারণ আমি ভাবতেই পারি নি আজকে এভাবেই মৃত্যুবরণ করবেন তিনি। কারণ পার্লামেন্ট শুরু হবে তিনি আসবেন এবং দ্রুত সুস্থ হতে হবে- এটা তিনি সবসময় চিন্তা করতেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য তার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর আমরা আর শুনতে পারবো না। তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে প্রধানমন্ত্রী শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমি আমার সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, তার মরদেহ নিয়ে আসার জন্য এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমাদের হাইকমিশনার থেকে একজন কর্মকর্তা সেখানে পাঠিয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা চলার পথ অনেক আপনজন হারিয়ে ফেলেছি। অবশ্য সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে আমাদের যেমন জন্ম তিনি মৃত্যুর পথ বেছে নিতে হয় এটাই সত্য কিন্তু এই সত্য মেনে নেয়া কঠিন তবে আমাদের মানতেই হয়।

এইচএস/এসএমএম

আরও পড়ুন