• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০১৯, ০৬:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১১, ২০১৯, ০৬:১০ পিএম

‘গ্রীষ্মে গড় চাহিদা ১৩ হাজার, উৎপাদন সাড়ে ২২ হাজার মেগাওয়াট’

‘গ্রীষ্মে গড় চাহিদা ১৩ হাজার, উৎপাদন সাড়ে ২২ হাজার মেগাওয়াট’
বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, গ্রীষ্মকালীন সময়ে দৈনিক বিদ্যুতের গড় চাহিদা প্রায় সাড়ে ১২ হাজার মেগাওয়াট থেকে ১৩ হাজার মেগাওয়াট। এর বিপরীতে বর্তমানে মোট স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ২২ হাজার ৫৬২ মেগাওয়াট। 

সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকালে একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে বিএনপির সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী সংসদে এ তথ্য জানান। 

প্রতিমন্ত্রী সংসদকে আরও জানান, বর্তমান সরকার সবার জন্য বিদ্যুৎ সুবিধা এবং ভবিষ্যতে বিদ্যুতের চাহিদার কথা বিবেচনা করে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্পগুলো থেকে বিভিন্ন মেয়াদে ৮৭টি নতুন কেন্দ্র থেকে ৩৯ হাজার ৮৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।

এছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে সরকারের নেয়া পরিকল্পনার তথ্য তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে মোট ১৫ হাজার ৯৩৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৪৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০১৯ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। এছাড়া ৩ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে।

অন্যদিকে, ১ হাজার ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৮টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। এছাড়া ১৯ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে। এ নিয়ে মোট ৮৭টি কেন্দ্র থেকে ৩৯ হাজার ৮৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।

এছাড়া আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে ভারতের দুটি স্থান থেকে ২ হাজার ৮৩৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে, যা ২০২১ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে চালু হবে। বর্তমানে (২০১৮-১৯ অর্থবছরে) প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় উৎপাদন ব্যয় ৬ দশমিক ০১ টাকা।

এইচএস/টিএফ

আরও পড়ুন