• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০১৯, ০৪:০০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১২, ২০১৯, ০৪:১৯ পিএম

কক্সবাজার যাওয়া হলো না তাদের

কক্সবাজার যাওয়া হলো না তাদের
আহত মুন্না

প্রতিবেশি বন্ধু রুবেলকে নিয়ে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়ে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন মুন্না (২৬)। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দপুরে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনায় কক্সবাজারের বদলে রুবেল চলে গেল না ফেরার দেশে আর মৃত্যুমুখ থেকে ফেরা মুন্নার স্থান হলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের শয্যায় খানিকটা অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় মুন্নাকে। ডান পায়ে জড়ানো ছিল পুরু প্লাস্টার। মুখমণ্ডলের কিছু স্থানে শুকনা রক্তের দাগ।  ডান হাতের শিরায় দিয়ে দেহে ঢুকছিল এ পজিটিভ রক্ত।

মুন্নার বাড়ি হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে। নিজ এলাকার একটি স্টিল ওয়ার্কশপে কাজ করেন তিন ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট মুন্না। তার বাবা মরহুম গোলজার হোসেন।

ঢামেক হাসপাতালে মুন্নার পাশে পাওয়া যায় তার আপন চাচা সেন্টু। একইসঙ্গে নিকটাত্মীয় এবং সম্পর্কে চাচা সুমন ও আফরাজ। মুন্নার বরাত দিয়ে সেন্টু দৈনিক জাগরণকে জানান, দুর্ঘটনার পর নিজের ব্যবহৃত মোবাইলফোন দিয়ে মুন্না ফোন দেন সেন্টুকে। তখন মুন্নাকে ঘটনাস্থল থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আজ সকালে সেন্টু নিজ গ্রাম শায়েস্তাগঞ্জ থেকে কুমিল্লায় যান।  সেখান থেকে মুন্নাকে নিয়ে আসেন ঢামেক হাসপাতালে।

নিকটাত্মীয় এবং সম্পর্কে চাচা সুমন থাকেন সাভারে।  তিনি দৈনিক জাগরণকে জানান, আজ মঙ্গলবার সকালে টেলিভিশনের খবরে দেখছিলেন ট্রেন দুর্ঘটনার খবর। এসময় শুনতে পান মুন্না নামের একজন আহত হয়েছেন। মুন্নার ভিডিও দেখানো হচ্ছিল খবরে। এভাবে তিনি মুন্না আক্রান্ত হবার খবর পেয়ে আত্মীয়-স্বজনদের জানান এবং একত্রিত হন।

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে মুন্নার আপন চাচা সেন্টু জানান, মুন্নার অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। ডান পা ভেঙে গেছে। তার চেতনা আছে। মৃদুস্বরে কথা বলতে পারেন। খাদ্যগ্রহণ করতে পারেন। বর্তমানে এক ব্যাগ রক্ত চলছে। আরও এক ব্যাগ রক্ত দিতে হবে। দুর্ঘটনা সম্পর্কে তার সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে।

আরএম/টিএফ

আরও পড়ুন