• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০১৯, ০৬:০৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১২, ২০১৯, ০৬:০৭ পিএম

ট্রেন দুর্ঘটনা

শিশু সন্তানহারা স্বামী-স্ত্রী কাতরাচ্ছেন পঙ্গু হাসপাতালে

শিশু সন্তানহারা স্বামী-স্ত্রী কাতরাচ্ছেন পঙ্গু হাসপাতালে
পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন নাজমা -ছবি : রিকু আমির

বাবার বাড়ি থেকে স্বামী সোহেল, দুই শিশু সন্তান নাফিস (৬), সোহামনি (২) ও খালা রেনু বেগমকে নিয়ে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে চট্টগ্রামে ফিরছিলেন নাজমা (৩০)। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়েন তারা। সে দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে তার প্রিয় সন্তান সোহামনিকে।

সোহেল, নাজমা ও নাফিস গুরুতর আহত হয়ে এখন ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি। রেনু বেগমকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকায় আনা হচ্ছে বলে বিকালে দৈনিক জাগরণকে জানান নাজমার মা আমিনা বেগম।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকালে পঙ্গু হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দেখা গেলে নাজমাকে। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানালেন, নাজমার দুই পা হাঁটুর নিচে ভেঙে গেছে এবং বাম হাত ভেঙে যাবার মতোই। সোহেলের দেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লেগেছে।ডান পা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত। নাফিসের কপাল ও বুকে চোট লেগেছে।

আমিনা জানান, কিছুদিন আগে নাজমা হবিগঞ্জে বেড়াতে আসেন সন্তানদের নিয়ে। সোমবার সোহেল আসেন তাদের চট্টগ্রামে নিয়ে যেতে। চট্টগ্রামে সোহেল চাকুরি করেন। বেড়ানোর জন্য নাজমা তার খালা রেনুকে সঙ্গে নিয়ে ট্রেনে চড়েন।

জরুরি বিভাগে দেখা যায়, নাজমা ট্রলির ওপর শোয়া। দুই পা ব্যান্ডেজ। কিছুক্ষণ পরপর ব্যথা ব্যথা বলে কুঁকড়ে উঠছিলেন আর আহাজারি করছিলেন সোহামনির জন্য। 

ভাগিনা নাফিসকে কোলে নিয়ে অদূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন মামা আকাশ (নাজমার ছোট ভাই)। নাসিফে চোখ মুখ ভেজা। নাম ধরে ডাকতেই নাফিস ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায়। চোখ বড় করে এদিক-ওদিক তাকাতে থাকে নাফিস। আকাশ জানালেন, দুর্ঘটনা খুবই শক পেয়েছে ভাগিনা আমার। দেখেন দেখেন, কেমন চোখ বড় কইরা তাকায়...’।

 আরএম/এসএমএম

আরও পড়ুন