• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০১৯, ০৯:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১২, ২০১৯, ০৯:৪০ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনা

পা ভেঙেছে আহত সবার, রক্তক্ষরণ হয়েছে বেশি

পা ভেঙেছে আহত সবার, রক্তক্ষরণ হয়েছে বেশি
সংগৃহীত ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত ৮জন ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ও ২জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আহত প্রায় প্রত্যেকেরই পা ভেঙেছে, কারও দুই পা-ই ভেঙেছে, কারও পায়ের সাথে হাত ভেঙেছে বা মচকে গেছে। দুই পা ভাঙার সাথে শুধুমাত্র সুমী নামে এক নারীর মাথায় আঘাত আছে। এজন্য তাকে মঙ্গলবার বিকালে ঢামেক হাসপাতালে রেফার করেছেন পঙ্গু হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাত আটটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি আছেন- আবুল কালাম (৫২), হাসান আলী (৭০), ইমন (১৮), সুরাইয়া খাতুন (৬৫), নিজাম (২২), নাজমা (৩০), সোহেল মিয়া (৩৫) ও নাফিজ (৪)। অন্যদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি আছেন মুন্না (২৬) ও সুমী (২১)।

পঙ্গু হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, আবুল কালাম (৫২) এর দুই পায়ে পুরু ব্যান্ডেজ করা, হাসান আলী (৭০) এর ডান পায়ে প্লাস্টার করা, ইমন (১৮) এর ডান পায়ে ব্যান্ডেজ করা, সুরাইয়া খাতুনের (৬৫) দুই পায়ে পুরু ব্যান্ডেজ করা, নিজাম (২২) এর দুই পায়ে ব্যান্ডেজ করা, নাজমা (৩০) এর দুই পায়ে ব্যান্ডেজ করা, সোহেল মিয়া (৩৫) এর এক পায়ে ব্যান্ডেজ করা। মুন্নার ডান পায়ে ও সুমীর দুই পায়ে পুরু ব্যান্ডেজ করা দেখা গেছে ঢামেকে।

এদিকে, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষতির পাশপাশি একজন ছাড়া সবার দেহ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। এজন্য অপারেশন ছাড়াই প্রত্যেককে রক্ত গ্রহণ করতে হচ্ছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যখন সুরাইয়াকে পাওয়া যায়, তখন তার ডান হাতে চলছিল রক্তের সুঁচ। তার ছেলে ওমর জানান, তাকে এখনো পর্যন্ত দুই ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়েছে। আরও দুই ব্যাগ যোগাড় করা হচ্ছে। সুরাইয়া ছাড়াও আবুল কালাম, হাসান আলী, ইমন, নিজাম, নাজমা, সোহেল মিয়া, মুন্না, ও সুমীকেও আলাদা রক্ত দিতে দেখা গেছে।

আরএম/এমএইচবি

আরও পড়ুন