সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যেমে ৭ বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ২৩টি উপজেলায় শতভাগ বিশেষায়িত বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ এর মার্চ মুজিব বর্ষ। এরই মধ্যে সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হবে।যেখানে গ্রিডলাইন পৌঁছে নি, সেখানে সোলার বিদ্যুতের মাধ্যমে আলোকিত করা হবে। কেউ অন্ধকারে থাকবে না, সব ঘরে আলো জ্বলবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে পরিমাণ টাকা খরচ হয় তার থেকে অনেক কম খরচে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এক্ষেত্রে সরকার ভর্তুকি দেয়। ওই বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। বিদ্যুৎ অপচয় যেনো না হয়। বিদ্যুৎ অপচয় বন্ধ করবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার জন্য আমাদের চাষযোগ্য জমি সংরক্ষণ করতে হবে। কারও কাছে ভিক্ষা বা হাত পেতে চলতে চাই না। আমরা আত্ম মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে চাই।

তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন, সরবরাহ ও সঞ্চালন করে যাচ্ছি। যার সুফল দেশের মানুষ পাচ্ছেন। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ যাতে উন্নয়নের ফল পায় সে লক্ষ্য সামনে রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। উন্নয়ন মানে শুধু শহরের মানুষের উন্নয়ন না। গ্রামের তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের উন্নয়ন আমরা নিশ্চিত করতে চাই। যাতে তাদের মৌলিক চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, খাদ্য , শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা যায়।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) সূত্র জানায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো হলো- আনোয়ারা ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, রংপুরে ১১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, কর্ণফুলীতে ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, শিকলবাহা ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, পটিয়া ৫৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, তেঁতুলিয়া ৮ মেগাওয়াট সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গাজীপুর ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র।

শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতাধীন ২৩ উপজেলা হলো- বগুড়ার গাবতলী, শেরপুর, শিবগঞ্জ, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া, ফরিদপুরের মধুখালী, নগরকান্দা, সালথা, গাইবান্ধার ফুলছড়ি, গাইবান্ধা সদর, পলাশবাড়ী, হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর, নবীগঞ্জ, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ, মহেশপুর, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ, নাটোরের বড়াইগ্রাম, লালপুর, সিংড়া, নেত্রকোনার বারহাট্টা, মোহনগঞ্জ এবং পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া, কাউখালী ও ইন্দুরকানী।

এএইচএস/এসএমএম