• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০১৯, ০১:৪২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৬:১৭ পিএম

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে কোনো যুদ্ধাপরাধীদের আমন্ত্রণ নয় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে কোনো যুদ্ধাপরাধীদের আমন্ত্রণ নয় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ব্রিফ করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল -ছবি : জাগরণ

মহান বিজয় দিবস উদযাপনের কোনো অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা বিরোধী কাউকে আমন্ত্রণ জানানো যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওইসব বিতর্কিত ব্যক্তিরা যাতে বিজয় দিবসের কোনো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না পান সেজন্য কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মহান বিজয় দিবস নির্বিঘ্নে উদযাপনের বিষয়ে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এবারও বিজয় দিবসে সারাদেশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, দিবসটি উদযাপনে জাতীয় পতাকা আইন যথাযথ অনুসরণ করতে হবে। কোনো প্রকার রঙ নষ্ট হওয়া বা মাপ ঠিক না থাকা পতাকা উত্তোলন করা যাবে না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে অনেক স্থানেই আলোকসজ্জা করা হয়। এ আলোক সজ্জা দুদিন আগে থেকেই করা হয়। কিন্তু আজ আমাদের সিদ্ধান্ত, কোনোভাবেই ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আলোক সজ্জা করা যাবে না।

ঢাকা থেকে সাভার স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবর্গ, বিদেশি কুটনীতিকদের চলাচলসহ এই পরো এলাকায় নেয়া হবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, স্মৃতিসৌধ সিসি ক্যামেরার আওতাশ আনা হবে। ঢাকা থেকে সাভার পর্যন্ত সম্পূর্ণ সড়কে বসানো হবে সিসিটিভি ক্যামেরা। যাতে করে কউ নাশকতা ঘটাতে না পারে। ঢাকা থেকে সাভার পর্যন্ত কোনো তোরণ করতে দেবো না। 

সংস্কৃতি অনুষ্ঠান র‌্যালি করলে ৭দিন আগেই স্থানীয় প্রশাসনকে বিস্তারিত জানাতে হবে। ৪১১টি স্থানে ফায়ারসার্ভিস এলার্ট থাকবে। স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল টিম, অ্যাম্বুলেন্স থাকবে স্মৃতিসৌধসহ গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায়।

এছাড়া জেলাখানা, হাসপাতাল, এতিমখানা ও বৃদ্ধাশ্রমে উন্নত খাবার পরিবেশন করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী। 

আসাদুজ্জামান খান কামাল  আরও বলেন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্ক্রিন বসানো হবে। সেখানে বিজয় দিবসের প্যারেডের দৃশ্য দেখা যাবে। আর্মি, পুলিশ, সিটি করপোরেশন পৃথকভাবে এ ব্যবস্থা করবে। যেহেতু অনুষ্ঠানস্থলে ভিড় থাকে, সেটি এড়িয়ে যেতে এটি করা হয়েছে। সংস্কৃতি অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে।

বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার চার্জশিট জমা দেয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিচারের বিষয়টি পুলিশের অধীনে নয়, বিচার আদালত করবে। আমরা আগেই বলেছি আমরা নির্ভুল চাজর্শিট দেয়ার জন্য আমরা প্রচেস্টা নেবো। আমরা আশা করি আমাদের তদন্ত সংস্থা পুলিশ বাহিনীর মাধ্যমে যে চার্জশিট দিয়েছে, তা নির্ভুল চার্জশিট। শিগগিরই এর বিচার হবে, আমরাও আশা করছি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সড়ক বিভাগের মন্ত্রী আগে বলেছেন- এক মাস এ আইনটি সম্পর্কে সবাইকে জানাচ্ছেন, সচেতনতা সৃষ্টি করছেন। সময়মতো তিনি আইনটি প্রয়োগে আমাদের নির্দেশনা দেবেন। দেশের মানুষের মধ্যে আইন মেনে চলার প্রচেস্টা প্রবল। বিআরটিএতে ভীড় লেগে গেছে। কারণ জনগণকে বুঝালে তারা আইন মানার চেষ্টা করেন। 

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র সচিব কামাল উদ্দীন আহমেদ, আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারী, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এমএএম/একেএস/টিএফ/একেএস

আরও পড়ুন