• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০১৯, ০৬:০৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৪, ২০১৯, ০৬:১০ পিএম

‘১৫ দিনের মধ্যে ৪৭৫০ ডাক্তার নিয়োগ’

‘১৫ দিনের মধ্যে ৪৭৫০ ডাক্তার নিয়োগ’
সংসদ অধিবেশনে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন - ফাইল ছবি

আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ৪৭৫০ জন ডাক্তার নিয়োগ হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। 

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে সংসদ অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন নিয়োগের ফলে প্রতি উপজেলায় ৯ থেকে ১০ জন করে নতুন ডাক্তার নিয়োগ হবে।

৩৯তম বিশেষ বিসিএস এর মাধ্যমে উত্তীর্ণ এসব ডাক্তারদের ফাইলটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে এখন রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় জনবল বৃদ্ধি করা প্রয়োজন, সেটা সবাই উপলব্ধি করছি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পিএসসি’র মাধ্যমে বিশেষ বিসিএস-এর মাধ্যমে ৪৭৫০ জন ডাক্তার উত্তীর্ণ হয়েছে। অল্প দিনের মধ্যে, আশা করি ১৫ দিনের মধ্যে সেটি রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাভ করার পর নিয়োগ হবে। এসব ডাক্তারের মধ্যে ৪ হাজার ৫শ’ জনের বেশি ডাক্তার দেশের বিভিন্ন উপজেলায় পদায়ন করা হবে।

তিনি বলেন, এবার প্রতি উপজেলাতে ৯-১০ জন করে ডাক্তার পেতে যাচ্ছি। পর্যাপ্ত সংখ্যক নার্স নিয়োগ হয়েছে।

নিজের এলাকার কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার নিজ উপজেলার আগে ৩৮ জন নার্স ছিল এখন ১৭৭ জন রয়েছে। কাজেই নার্সের ক্ষেত্রে আমাদের জনবল সন্তোষজনক অবস্থায়।

সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন বলেন, আসলে এমপি হিসেবে আমাদের জবাবদিহিতা করতে হয়। হাসপাতালে পরিপূর্ণভাবে চিকিৎসাসেবা দিতে পারছি কি না। যে চিত্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা অনেকাংশে অনেক জায়গায় সত্য। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অ্যাটাচমেন্টের বিষয়টি কড়াকড়ি করা হয়েছে। কোনো অ্যাটাচমেন্ট দেওয়া হচ্ছে না। উপজেলাতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা নতুন যোগদান করেন তাদের একটি শর্ত রয়েছে। চাকরির শুরুতে দুই বছর উপজেলা পর্যায়ে সেবা দিতে হবে। ৩৯তম স্পেশাল বিসিএস-এর মাধ্যমে যারা যোগদান করতে যাচ্ছেন অল্প সময়ের মধ্যে তারা যেন প্রথম দুই বছর যেখানে যাকে দেওয়া হবে সেখানে থাকেন। তারপর উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য তারা আসতে পারবেন। সে বিষয়ে আমি নিজে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি।

এইচএস/বিএস 
 

আরও পড়ুন