বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা উপেক্ষা করে সরকারি রূপালী ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংকের ঋণ বিতরণে অনিয়মে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। বিভিন্ন ব্যাংকে মেয়দোত্তীর্ণ ঋণ থাকা সত্বেও সেই প্রতিষ্ঠানকে ঋণ প্রদান, ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করা সত্বেও ঋণ নবায়ন, ঋণ আদায় না করে সুদ মুওকুফ এবং পুণ ঋণ তফশিল করা, রফতানি বিলের টাকা আদায় না করা, ঋণের টাকা আত্মসাৎ, বারবার মালিকানা পরিবর্তন সত্বেও অপর্যাপ্ত জামানতের ভিত্তিতে ঋণ বিতরণ, ফোর্সড লোন ও পিসি লোনের শর্ত একীভূত করে সেই ঋণ পুণ তফসিলের মতো ঘটনায় কমিটি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ঋণ পুণতফসিল মনিটরিং করার এবং অনাদয়ী ১০৩ কোটি ৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা আদায়ের টাকা সুপারিশ করা হয়। এছাড়া দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১৭তম বৈঠকে এ সব সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মো. রুস্তম আলী ফরাজী। বৈঠকে কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ, মো. আব্দুস শহীদ, মো. আফছারুল আমীন, মো. শহীদুজ্জামান সরকার, মনজুর হোসেন, আহসানুল ইসলাম (টিটু), ওয়াসিকা আয়েশা খান ও মো. জাহিদুর রহমান অংশ নেন।

সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়- বৈঠকে রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের কয়েকটি শাখা ও বেসিক ব্যাংক লিমিটেডের একটি শাখার ২০১২-১৩ অর্থ বছরের হিসাব সম্পর্কিত বাংলাদেশের কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল এর অডিট আপত্তির উপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

কমিটি নিবন্ধিত চাটার্ড একাউন্টেন্ট ফার্ম কর্তৃক রূপালী ব্যাংক লিমিটেড ও বেসিক ব্যাংক লিমিটেড-এর সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক বছরের স্থিতিপত্র, আয়-ব্যয় হিসাব ও লাভ-লোকসান হিসাব সংক্রান্ত বিষয়ে পর্যালোচনা করে। বৈঠকে ৭টি আপত্তির বিষয়ে প্রশ্ন-উত্তর ও জেরা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে কমিটি ৩টি আপত্তি নিষ্পত্তির সুপারিশ করে। এছাড়া অনিষ্পন্ন আপত্তিসমূহের অনাদায়ী টাকা আদায় এবং জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর, রূপালী ও বেসিক ব্যাংক লিমিটেডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এইচএস/বিএস