• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০১৯, ০৬:৩৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৭, ২০১৯, ০৬:৩৩ পিএম

বিডিবিএলের সাবেক জিএম কাদরী গ্রেফতার

বিডিবিএলের সাবেক জিএম কাদরী গ্রেফতার

বাংলাদেশ ডেভেলমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ নুরুর রহমান কাদরীকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

রোববার (১৭ নভেম্বর) বিকালে মৎসভবন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান। 

দুদক সূত্র জানায়, সুদসহ বিডিবিএল এর পাওনা ১৭৪ কোটি টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্মসাৎ-স্থানান্তর করার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা যায়, বিডিবিএলের প্রিন্সিপাল শাখার সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তারা গ্রাহকের বেনিফিসিয়ারীর ব্যাংক থেকে পাঠানো জাল ডকুমেন্ট গ্রহণ করে, সত্যতা যাচাই না করেই এবং বেনিফিসিয়ারী প্রতিষ্ঠানের বাস্তব অস্তিত্ব আছে কিনা বা ওই প্রতিষ্ঠান হতে এম.এম ভেজিটেবল অয়েল প্রোডাক্টস বাস্তবিকভাবে মালামাল গ্রহণ করেছে কিনা, যাচাই না করেই অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারণার মাধ্যমে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহারের আশ্রয়ে এবং নিজেরা লাভবান হয়ে গ্রাহকদেরকে লাভবান করার হীন উদ্দেশ্যেই জাল ডকুমেন্ট জেনেও এর বিপরীতে বিডিবিএল হতে মোট ৭৯ কোটি ৫৫ লাখ ৭ হাজার ৪২০ টাকা, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখ পর্যন্ত সুদসহ বিডিবিএল এর পাওনা ১৭৪ কোটি ৬১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্মসাত-স্থানান্তর ও রুপান্তরের মাধ্যমে আত্মসাত-পাচার করে ফৌজদারী অপরাধ করেছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দুদক মামলা করে। 

মামলায় মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন-  বিডিবিএলের প্রিন্সিপাল শাখার সাবেক এসপিও দীনেশ চন্দ্র সাহা, সাবেক জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ নুরুর রহমান কাদরী,  এম এম ভেজিটেবল অয়েল প্রোডাক্টস লি. এর চেয়ারম্যান মো. হেফাজেতুর রহমান, একই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির উদ্দিন, পরিচালক কামাল উদ্দিন, কফিল উদ্দিন, রফিক উদ্দিন, শফিক উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, লুসিডা ট্রেডিং-এর প্রোপাইটার মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চৌধুরী ও মের্সাস গ্লোব ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটার মো. মাহবুবুল আলম চৌধুরী। আসামীদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা’সহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২), (৩) ধারায় একটি মামলা করা হয়।

এইচএস/টিএফ

আরও পড়ুন