• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০১৯, ০৯:২০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২০, ২০১৯, ০৯:২০ এএম

দুদকের নজরদারিতে এসপি হারুন

দুদকের নজরদারিতে এসপি হারুন
এসপি হারুন অর রশীদ- ফাইল ছবি

সদ্য প্রত্যাহার করা আলোচিত নারায়নগঞ্জের এসপি হারুন অর রশীদ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নজরদারিতে রয়েছেন। সম্প্রতি চাঁদাবাজির পাশাপাশি এক ব্যবসায়ীকে তুলে নেয়ার অভিযোগে তাকে প্রত্যাহার করা হয়। আর এরই প্রেক্ষিতে দুদকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গেছে।

রোববার (১৬ নভেম্বর) দুদকে এই অভিযোগ জমা দেন সালেহ উদ্দিন নামের সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি। 

সালেহ উদ্দিন বলেন, দুদকে এসপি হারুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ জমা দিয়েছি।

এরআগে, এসপি হারুনের বিরুদ্ধে আসা দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে গত ১২ নভেম্বর উচ্চ আদালতে রিট করেছিলেন সালেহ উদ্দিন। ওইদিন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটির শুনানি হয়।

আদালত রিটকারী আইনজীবীকে বলেন, ‘আগে অভিযোগগুলো দুদক এবং পুলিশ সদর দপ্তরে দাখিল করুন। তারা কোনো ব্যবস্থা না নিলে হাইকোর্টে আসবেন। আমরা তখন বিষয়টি দেখব।’ পরে রিটটির শুনানি মুলতবি (স্ট্যান্ডওভার) করে আদালত।

সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘আদালতের শুনানির পর দুই দফায় পুলিশ সদর দপ্তর ও দুদকে চিঠি দেয়া হয়েছে। সবশেষ গত ১৭ নভেম্বর দুদকে একটা চিঠি দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসপি হারুনকে নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন চিঠির সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। এরপর কোর্টের নজরে আনা হবে।’

গত ৩ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের এসপি হারুন অর রশীদকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে (ট্রেনিং রিজার্ভ) সংযুক্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পুলিশ সদর দপ্তরে যোগদান করে নিয়মিত অফিস করলেও বিতর্কিত এই পুলিশ কর্মকর্তাকে এখনও কোনো দায়িত্ব দেয়া হয়নি। তিনি দপ্তরে আসেন আর সই করে করে চলে যান। তবে তিনি তার পদমর্যাদা ও বেতন ভোগ করবেন।

আইনজীবী সালেহ উদ্দিন বলেন, পুলিশের উপর জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের একটা বড় ব্যাপার। এখানে তিনি (এসপি হারুন) কী করেছেন সেটা অন্তত তদন্ত করে জানা দরকার।

২০১১ সালে সংসদের তৎকালীন বিরোধীদল বিএনপির হরতাল চলাকালে ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবেদিন ফারুককে পিটিয়ে আলোচনায় আসেন এসপি মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। এরপর গাজীপুর সিটি নির্বাচনের সময়ও ওই জেলার পুলিশ সুপারের থাকার সময় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল বিএনপি।

গত ৩১ অক্টোবর রাতে পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাশেমের ছেলে ও আম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত আজিজ রাসেলের ব্যবহৃত গাড়িটি চালকসহ ঢাকা ক্লাব থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন ১ নভেম্বর মধ্যরাতে গুলশানের বাসা থেকে রাসেলের স্ত্রী ফারাহ রাসেল ও তার ছেলে আনাব আজিজকে বাসা থেকে তুলে নেয় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ।

পৃথক জায়গা থেকে গাড়িসহ চালক ও রাসেলের পরিবারের সদস্যদের পুলিশ নিয়ে গেলেও ২ নভেম্বর এসপি হারুন সংবাদ সম্মেলন করে জানান, পুলিশ গাড়িটি আটকের পর এর ভেতর থেকে মাদক ও গুলি উদ্ধার করেছে। তখন গাড়িতে ছিলেন রাসেলের স্ত্রী ও সন্তান।

তবে পুলিশ সুপার হারুনের গল্পে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় শওকত আজিজ রাসেলের বাসার সিসিটিভি ফুটেজ। তাতেই বিতর্কিত হয়ে পড়েন পুলিশের এই কর্মকর্তা। এরপর ৩ নভেম্বরই নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রত্যাহার করে এসপি হারুনকে ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরের টিআর শাখায় বদলি করা হয়।

এইচএম/টিএফ

আরও পড়ুন