• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০১৯, ০৭:১৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২০, ২০১৯, ০৮:০৬ পিএম

চালকের অবহেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল দুর্ঘটনা : রেলমন্ত্রী

চালকের অবহেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল দুর্ঘটনা : রেলমন্ত্রী
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন -ছবি : জাগরণ

রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মন্দবাগ রেলস্টেশনে দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় তূর্ণা নিশীথার চালক তাহের উদ্দিন, সহকারী চালক অনুপ দেব ও পরিচালক (গার্ড) আব্দুর রহমানের দায়িত্বে অবহেলাকে দায়ী করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় গঠিত ৫টি কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের ৩ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১২ নভেম্বর ঢাকা-চট্টগ্রাম লাইনের মন্দবাগ স্টেশনের আউটার ক্রসিংয়ে রাত ২.৫৫ মিটিটে দিকে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও আন্তঃনগর তূর্ণা নিশীথার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ১৭ জন নিহত হন। এ দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে ৫টি কমিটি গঠন করা হয়। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন একটি, রেলওয়ে তিনটি এবং রেলপথ মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে।

রেলপথমন্ত্রী বলেন, ৫টি কমিটির মধ্যে ৩টিই তদন্ত করে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে। কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন, সাক্ষ্য প্রমাণ পর্যালোচনা এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে যে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন, তা প্রায় একইরকম। 

সাংবাদিদের উদ্দ্যেশ্যে মন্ত্রী বলেন, সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস (৭২৪ নম্বর) ক্রসিং এর জন্য লুপ লাইনে প্রবেশের সময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তুর্ণা-নিশীথা এক্সপ্রেস (৭৪১ নম্বর) উদয়ন এক্সপ্রেসকে সজোরে ধাক্কা দেয়, ফলে মর্মান্তিক এ ট্রেন দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়।

রেলপথ মন্ত্রী উল্লেখ করেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবার প্রতি ২৫,০০০ টাকা এবং পরবর্তীতে আমরা রেলপথ মন্ত্রণালয় হতে নিহতদের পরিবার প্রতি ১ লাখ টাকা এবং আহতদের পরিবার প্রতি ১০,০০০ টাকা সাহায্য ঘোষণা করি। আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের সরকারি আধুনিক হাসপাতালে রোগীদের ভর্তির ব্যবস্থা করি। শুধু তাই নয়, আমরা প্রতিনিয়ত আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিচ্ছি। 

কমিটিগুলো ভবিষ্যতে এ ধরণের দুর্ঘটনা এড়াতে নিম্নোক্ত সুপারিশসমূহ পেশ করে :

(১) ট্রেনের লোকোমাস্টার, সহকারী লোকোমাস্টার এবং গার্ডদের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকির জন্য লোকোমোটিভে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা। (২) ট্রেনের অপারেশনের সাথে যুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ; (৩) ট্রেনের অপারেশনের সাথে যুক্ত কর্মচারীদের শূন্য পদ পূরণের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা; (৪) স্টেশন এবং ট্রেনের সাথে যোগাযোগ রক্ষার জন্য ক্লোজ ইউজার গ্রুপের মোবাইল ফোন অথবা আধুনিক অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা এবং  (৫) বাংলাদেশ রেলওয়েতে এটিএস  সিস্টেম প্রবর্তন করার ব্যবস্থা নেয়া। এ সকল সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে অদূর ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মোফাজ্জেল হোসেন,বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান,অতিরিক্ত মহাপরিচালক,অপারেশন সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

টিএইচ/একেএস

আরও পড়ুন