• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০১৯, ০৬:২২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২১, ২০১৯, ০৬:৩৪ পিএম

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত
শিখা অনির্বাণে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা -ছবি : আইএসপিআর

যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী দিবস। এ উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। 

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দিবসটি উপলক্ষে সকালে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। 

এর আগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে এসে পৌঁছালে তাদের স্বাগত জানান তিন বাহিনী প্রধানগণ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার। পরে সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে পৃথক পৃথকভাবে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে। পুষ্পস্তবক অর্পণকালে শহীদদের স্মরণে বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে সই করেন। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধে শাহাদত বরণকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মরণে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আবু মোজাফফর মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব চৌধুরী ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে সম্মিলিতভাবে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে গমন করেন। সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং মহাপরিচালকবৃন্দ। সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান ও বিমানবাহিনী প্রধান সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী এবং নির্ধারিত সংখ্যক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা প্রদান করেন। তিনি তাদের হাতে সম্মানী চেক এবং উপহার তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ৯ জন সেনা, ২ জন নৌ এবং ৩ জন বিমান বাহিনী সদস্যদের ২০১৮-২০১৯ সালের শান্তিকালীন পদকে ভূষিত করা হয়। ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের নিকট আত্মীয়সহ প্রায় ১০১ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীগণ সংবর্ধনায় যোগ দেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষযক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আবু মোজাফফর মহিউদ্দিন মোহাম্মাদ আওরঙ্গজেব চৌধুরী, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত এবং উচ্চ পদস্থ সামরিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান ও বিমান বাহিনী প্রধান বঙ্গভবনে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। রাষ্ট্রপতি তিন বাহিনীর প্রধান, সশস্ত্র বাহিনীর সকল সদস্য এবং তাদের পরিবারবর্গকে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গঠিত সশস্ত্র বাহিনী দেশের গর্ব। তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা এরই মধ্যে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এবং শান্তিরক্ষী মিশনে কার্যকর ভূমিকার মধ্য দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।

তিনি বলেন, সরকার ‘ফোর্সেস গোল- ২০৩০’-এর আওতায় তিন বাহিনীর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।  সশস্ত্র বাহিনীর কল্যাণে সরকারের এ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ দিকে বিমানবাহিনী প্রধান ২২ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে বিমানবাহিনীর এবং সেনাবাহিনী প্রধান ২৫ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে সেনাবাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা/তাদের পরিবারবর্গের সম্মানার্থে পৃথক পৃথক সংবর্ধনার আয়োজন করবেন।

এএইচএস/একেএস

আরও পড়ুন