• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০১৯, ০৯:০১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ২, ২০১৯, ০৯:০১ পিএম

জুয়েলারি শিল্প বিকাশে অর্থনৈতিক অঞ্চল চায় বাজুস

জুয়েলারি শিল্প বিকাশে অর্থনৈতিক অঞ্চল চায় বাজুস

দেশে জুয়েলারি শিল্প বিকাশে ঢাকার অদূরে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বাজুস নতুন কমিটির অভিষেক ও বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এসময় দেশের বাইরে থেকে অলঙ্কার আমদানির পরিবর্তে শুধু স্বর্ণ বার আমদানি সুযোগের দাবিও জানান ব্যবসায়ীরা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাজুস সভাপতি এনামুল হক খান দোলনসহ সংগঠনের নির্বাহী কমিটির নেতারা।

বাজুস সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, স্বর্ণ একটি মূল্যবান ও স্পর্শকাতর ধাতু। এজন্য এর সংকুচিত ভিত্তি মূল্য ১০ শতাংশ ধায্য পূর্বক উক্ত ধায্যকৃত মূল্যের ১৫ শতাংশ হারে মোট বিক্রয়ের ওপর ১ দশমিক ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট নির্ধারণের প্রস্তাব রাখছি। একই দাবি আমরা বাজেট প্রস্তাবে দিয়েছিলাম। এছাড়া বাজেট প্রস্তাবনায় মূসক নিবন্ধনকারী শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ, মূসক ১ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ, ৪ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছিলাম, আশা করি সরকার এগুলো বিবেচনায় নেবে। এছাড়া পলিশ/ফিনিসড ডায়মন্ডের আমদানির ক্ষেত্রে সর্বমোট শুল্ক ২৫ শতাংশ, আরডি ৩ শতাংশ, সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ, মূসক ১৫ শতাংশ, অগ্রিম মূসক ৫ শতাংশ, এটিভি ৪ শতাংশসহ মোট ৮৯ দশমিক ৪২ শতাংশ আরোপ করার প্রস্তাব করছি।

তিনি বলেন, আমরা বরাবরই সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছি, দেশের বাইরে থেকে অলঙ্কার আমদানির পরিবর্তে শুধু স্বর্ণের বার আমদানির দাবি জানিয়েছি। ইতোমধ্যে ১৮টি গোল্ড ডিলারশিপ লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি ব্যাংক ব্যতীত বাকি ডিলারশিপের সবাই জুয়েলারি ব্যবসায়ী যারা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের। আশা করি এর মাধ্যমে ব্যবসার সুষ্ঠু পরিবেশ ও অবাধ রপ্তানির স্বার্থে অচিরেই আমরা স্বর্ণ আমদানি করতে সক্ষম হবো। এছাড়া ব্যবসাবান্ধব প্রধানমন্ত্রী আমাদের কথা বিবেচনায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি এ জন্য সরকার প্রধানকে বাজুস ধন্যবাদ জানাই।

আরএম/বিএস