• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০১৯, ০৯:২০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ২, ২০১৯, ০৯:২০ পিএম

‘রোহিঙ্গারা যাতে আর  না ফিরে সেজন্য দায়বদ্ধতা জরুরি’

‘রোহিঙ্গারা যাতে আর  না ফিরে সেজন্য দায়বদ্ধতা জরুরি’
পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক

রোহিঙ্গা বিষয়ে বাংলাদেশের মনোভাব মানবিক কূটনীতি এবং এর সঙ্গে বিচারিক ও দায়বদ্ধতার বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত মন্তব্য করে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে যা করার সবই করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে। এ নিয়ে আইনি মতামত দেশের ভেতরে-বাইরে নেওয়া হয়েছে এবং প্রক্রিয়া চলছে।

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন-সংক্রান্ত মামলার শুনানি শুরু হচ্ছে আগামী ১০ ডিসেম্বর। এ প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে সোমবার (২ডিসেম্বর) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সচিব এসব কথা বলেন। 

শহীদুল হক বলেন, আমরা দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিকভাবে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। ২০১৭ সালে যখন এই সমস্যা শুরু হয়, তখন প্রধানমন্ত্রী বিষয়টিকে জাতিসংঘে নিয়ে গেছেন। সুতরাং মিয়ানমার তখন থেকেই জানে, আমরা দুই দিকেই চেষ্টা করছি। বিষয়টি একে অপরের পরিপূরক। প্রত্যাবাসন ও বিচার অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। কারণ এর আগেও প্রত্যাবাসন হয়েছে ১৯৭৮-৭৯ সালে, ৯০-এর দশকে হয়েছে। একই রোহিঙ্গারা ফেরৎ গেছে এবং আবার বাংলাদেশে ফিরে এসেছে। সুতরাং তারা যাতে আর ফিরে না আসে তার জন্য দায়বদ্ধতা অত্যন্ত জরুরি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ২০১৮ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বক্তব্য রাখেন, তখন উনি অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে বলেছিলেন, এরা (রোহিঙ্গারা) যে চলে এসেছে তার মূল কারণ খুঁজে বের করতে হবে। এবং কেন তারা যেতে চাচ্ছে না, এটি খুঁজতে গিয়ে দায়বদ্ধতা ও বিচারের বিষয়টি উঠে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দায়বদ্ধতা ও বিচার নিশ্চিত করলে তারা আবার নিজ দেশে ফেরত যাবে। এরা বাংলাদেশে আসে এবং ফিরে যায়। সম্ভবত এর কারণ হচ্ছে দায়বদ্ধতার বিষয়টি সমাধান করা হয়নি।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) তদন্ত প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আইসিসি নিজস্বভাবে বিষয়টি কোর্টে এনেছে এবং আমাদের কাছে মতামত চাইলে আমরা সেটি দিয়েছি। আমরা দেখবো আইসিসি কীভাবে এগিয়ে যায়।’ ইতোমধ্যে আইসিসির সঙ্গে বাংলাদেশের একটি সমঝোতা স্মারক হয়েছে, যাতে করে তারা যেন এখানে কাজ করতে পারে।

একটি প্রশ্নে শহীদুল হক বলেন, নেদারল্যান্ডসে কে যাবেন, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। একটি বিষয় মনে রাখতে হবে- মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলাটি গাম্বিয়া করেছে এবং কোর্টে সওয়াল-জবাব তারাই করবে। সুতরাং সেখান থেকে কে যাবে, সেটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের কোর্টে বক্তব্য রাখার কোনও সুযোগ নেই।

আরএম/বিএস