• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০১৯, ০৬:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৭, ২০১৯, ০৬:৪০ পিএম

‘দলিত নারী ও কিশোরীর প্রতি বৈষম্য নিরসনের দায়িত্ব সবার’

‘দলিত নারী ও কিশোরীর প্রতি বৈষম্য নিরসনের দায়িত্ব সবার’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দলিত নারী ফোরাম ও দলিত নারী ফেডারেশনের মানববন্ধন - ছবি : জাগরণ

দলিত নারী ফোরাম ও দলিত নারী ফেডারেশনের যৌথ আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তারা বলেছেন, দলিত নারী ও কিশোরীর প্রতি নির্যাতন ও বৈষম্য নিরসনের দায়িত্ব আমাদের সকলের।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন দলিত নারী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মণি রানী দাস। আরও উপস্থিত ছিলেন বিডিইআরএমের সাংগঠনিক সম্পাদক ভীম্পাল্লী ডেভিড রাজু, চা-শ্রমিক নেত্রী তামান্না সিং বাড়াইক, দলিত নারী নেত্রী পূজা রানী দাস, বিডিইআরএমের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কৈলাশ রবিদাসসহ বিভিন্ন কলোনীর ৬০ জন দলিত নারী।

বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের গৃহিত বেশ কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ নারীর মানবাধিকার উন্নয়ন এবং ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। রাষ্ট্রের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং অবদান যেমন আমাদের গর্বিত করে, এর বিপরীতে সমাজের দলিত নারীদের পিছিয়ে পড়ার বিষয়টি আমাদের সমানভাবে ব্যথিত করে। দলিত নারীর পিছিয়ে পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে তাদের প্রতি বৈষম্য। সমাজে দলিত নারীরা সাধারণত দুভাবে বৈষম্যের শিকার হয়। প্রথমত. দলিত এবং নারী হিসেবে বৃহত্তর সমাজে এবং দ্বিতীয়ত নারী হিসেবে নিজ জনগোষ্ঠীতে। পারিবারিক ও সামাজিক সহিংসতা, বঞ্চনা ও বৈষম্যকে পেছনে ফেলে তাদের জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া অনেক কঠিন। ফলে বৃহৎ সমাজের নারীরা যেখানে ক্রমশ সামনের দিকে এগিয়ে যায় সেখানে দলিত নারীরা তাদের তুলনায় অনেক পেছনে পড়ে থাকে।

তারা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জন বিশেষ করে উন্নয়নে প্রতিটি স্তরে জেন্ডার সমতা অর্জনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ সরকার এরইমধ্যে বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন এবং উন্নয়নমূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। যার প্রতিফলন আমরা এরইমধ্যে দেখতে শুরু করেছি। রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে পুরুষের পাশপাশি নারীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। পক্ষান্তরে, পিছিয়ে পড়া, প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর নারীদের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের সম্ভাবনা প্রবল পিতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা এবং সরকারের আন্তরিকতার অভাবে চাপা পড়ে রয়েছে। দলিত ও পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারীদের প্রতি বৈষম্য কমিয়ে তাদের উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় আনতে না পারলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কখনোই সম্ভব হবে না। কারণ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রার মূল স্লোগানই হলো ‘কাউকে পেছনে রাখা যাবে না’। 

সমাবেশ থেকে বক্তারা বলেন, দলিত জনগোষ্ঠীর প্রতি বৈষম্য নিরসনে অবিলম্বে ‘বৈষম্য বিলোপ আইন’ প্রণয়ন করতে হবে। দলিত নারী ও কিশোরীর প্রতি নির্যাতনের সকল মামলাসমূহ দ্রুত বিচার আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করতে হবে। কোনো দলিত মেয়েশিশু যেন শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে না পড়ে এবং উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে দলিত নারীরা যেন মূলধারার পেশায় সম্পৃক্ত হতে পারে সরকারকে সেই পদক্ষেপ নিতে হবে।

টিএস/ এফসি

আরও পড়ুন