মহিলা পরিষদ নেতারা বলেছেন, পরিবার, সমাজসহ সব জায়গায় নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে চলছে। আর এজন্য নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের উদ্যোগে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সুফিয়া কামাল ভবন মিলনায়তনে কর্মশালায় তারা এসব কথা বলেন। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু এবং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিষয়ে বক্তব্য রাখেন সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদা রেহানা বেগম। কর্মশালা সঞ্চালনায় ছিলেন ডিরেক্টর লিগ্যাল অ্যাডভোকেসি এন্ড লবি অ্যাডভোকেট মাকছুদা আখতার।
‘ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ- আসুন এ অপরাধের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই’- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে আইনগত সহায়তা গ্রহণকারীদের অভিজ্ঞতার আলোকে কার্যক্রম সমন্বিতভাবে করতে এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি রেখা চৌধুরী।
রেখা চৌধুরী বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধের জন্য বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদ কাজ করে যাচ্ছে। পরিবার, সমাজসহ সবর্ত্র নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে চলেছে। পরিবার, সমাজ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নাগরিক সমাজ, রাষ্ট্র সম্মিলিতভাবে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও নির্মূলে কাজ করতে হবে। রাজনৈতিক প্রভাব, রাজনীতির দুবৃত্তায়ন বন্ধ করতে হবে। নির্যাতনমুক্ত সমতাপূর্ণ পরিবার, রাষ্ট্র ও সমাজ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে নারীবান্ধব প্রশাসন ও বিচারব্যবস্থার উপর গুরুত্বারোপ করেন। একই সঙ্গে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার দাবি জানান।
মালেকা বানু বলেন, নারী নির্যাতন মুক্ত পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
অ্যাডভোকেট মাসুদা রেহানা বেগম বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে নির্যাতনের শিকার নারীকে যথাযথ প্রতিকার দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে সকলে মিলে নারী নির্যাতন নির্মূলের জন্য সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, অর্থ সম্পাদক দিল আফরোজ বেগম, রোকেয় সদন সম্পাদক নাসরিন মনসুর, লিগ্যল এইড উপ-পরিষদ সদস্য জয়ন্তী রায়, সংগঠনের প্যানেল আইনজীবী অ্যাড. এস. এম. এ. সবুর, অ্যাড. মো: আমিনুল ইসলাম, অ্যাড. আহাম্মদ হাশেম রাজা, আইনগত সহায়তা গ্রহণকারীবৃন্দ, কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের আইনজীবীবৃন্দসহ মোট ৭৫ জন ।
টিএস/টিএফ