• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০১৯, ০৩:২৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৯, ২০১৯, ০৩:২৬ পিএম

পাটকল শ্রমিকদের গণঅনশনে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সংহতি

পাটকল শ্রমিকদের গণঅনশনে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সংহতি
পাটকল শ্রমিকদের গণঅনশনে সংহতি জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের -ছবি : জাগরণ

পাটকল শ্রমিকদের ১১ দফা মেনে নেয়ার দাবি জানিয়ে তাদের গণঅনশনে সংহতি প্রকাশ করেছেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন নেতৃবৃন্দ।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে তারা এ সংহতি জানায়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরুল আহসান। মজুরি কমিশনের রোয়েদাদ বাস্তবায়ন, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরী-ভাতা পরিশোধ, পিপিপির প্রকল্পে নয় সরকারি উদ্যোগে পাটকলের মেশিনপত্র আধুনিকীকরণ করা ও উৎপাদন বৃদ্ধি করা এবং শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ফেরত দিয়ে শ্রমিক-কর্মচরিদের কল্যাণে তা ব্যবহার, ছাটাইকৃত শ্রমিকদের কাজে পূণর্বহালসহ ১১ দফা দারির সমর্থনে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের উদ্যোগে এ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়।

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন বলেন, পাটকল শ্রমিকদের ১২ সপ্তাহের বেতন-ভাতা বকেয়া পড়েছে। পাটকল করপোরেশনের খামখেয়ালীতে এই অবস্থা তৈরী হয়েছে। কর্মচারীদের ও প্রায় ৪ মাসের বেতন বকেয়া পড়েছে। পাটকল শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন করেও কোন সুরাহা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে তারা গণ-অনশন কর্মসূচি যেতে বাধ্য হচ্ছেন। 

তিনি বলেন, ২০১৫ সালে মজুরি কমিশনের রোয়েদাদ ঘোষণা করা হলেও তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড মোস্তফা আলমগীর রতন, ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আ স ম জাকারিয়া, হিমাংশু সাহা,  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম দেলোয়ার হোসেন, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার আলী, নারী বিষয়ক সম্পাদক শাহানা ফেরদৌসী লাকী, দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান প্রমুখ। 

সমাবেশে বক্তারা পাটকল সমূহকে আধুনিককরণের নামে ‘পিপিপি’ প্রকল্প বাতিল করে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে পাটকলের যন্ত্রাংশ আধুনিকিকরণ ও উন্নয়ন ঘটিয়ে এই শিল্পের উৎপাদন বৃদ্ধি করার ব্যবস্থা নিতে হবে। পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনার দাবী জানান। সমাবেশে শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজপথ প্রদক্ষিণ করে।

টিএস/একেএস

আরও পড়ুন