• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০১৯, ০৫:০৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১০, ২০১৯, ০৫:০৪ পিএম

‘নদীতীরে কোনো মসজিদ ভাঙা হবে না, অ্যাডজাস্ট করা হবে’

‘নদীতীরে কোনো মসজিদ ভাঙা হবে না, অ্যাডজাস্ট করা হবে’
বক্তব্য রাখছেন নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী - ছবি : জাগরণ

বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও ধলেশ্বরী নদীর তীরভূমিতে অননুমোদিতভাবে গড়ে ওঠা কোনো মসজিদ ভাঙা হবে না বলে জানিয়েছেন নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, মসজিদগুলো অ্যাডজাস্ট করা হবে। সৌন্দর্যমণ্ডিত ও আলোকিত করা হবে। সুন্দর স্থাপত্য ডিজাইন থাকবে। মসজিদ দেখে মন ভরে যাবে। প্রতিমন্ত্রী এজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।  

আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ ভবনে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও ধলেশ্বরী নদীর তীরভূমিতে অননুমোতিভাবে গড়ে ওঠা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ স্থানান্তরের বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার সারাদেশে ৫০০ মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ করছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়, ইসলামিক ভাউন্ডেশন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে বৈঠক করে নদীর তীরে গড়ে ওঠা মসজিদগুলো অ্যাডজাস্টের লক্ষ্যে শিগগিরই সাব-কমিটি গঠন করা হবে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এখানে এসেছেন। আল্লাহ আপনাদের সৎ উদ্দেশ্যকে কবুল করুন। আপনাদের মতামতের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া হবে। আপনাদের সঙ্গে পুনরায় আলোচনা করা হবে।

তিনি বলেন, শুধু ঢাকার নয়, সারা বাংলাদেশের নদীগুলোকে রক্ষা করতে হবে। যদি নদীগুলোকে রক্ষা করতে না পারি তাহলে বাংলাদেশকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। আপনাদের সঙ্গে নিয়ে নদীরক্ষায় যুদ্ধ করতে চাই। তিনি বলেন, নদী তীর রক্ষা, দখল ও দূষণরোধে অপসারণ কার্যক্রমের সময় আমরা ধর্মীয় পবিত্র জায়গাগুলোয় হাত দিতে পারতাম, কিন্তু করিনি। পবিত্র ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নামাজ আদায়ের জন্য এগুলো করা হয়েছে। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বায়তুল মোকারম মসজিদের খতিবসহ মুফতি, মাওলানা সাহেবদের সঙ্গে এসব বিষয়ে এর আগে বৈঠক হয়েছে। তারা বলেছেন, কোথায় মসজিদ নির্মাণ করা যাবে, আর কোথায় করা যাবে না। মুফতি মাওলানা সাহেবদের পরামর্শ নেয়া হবে।   

তিনি বলেন, নদীগুলোর মর্মান্তিক অবস্থা দেখলে অসুস্থ হয়ে পড়বেন। নদীগুলোকে রক্ষা করা দরকার। এজন্য সামগ্রিক ঐক্য দরকার। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা নদী উদ্ধারে জোর দিয়েছেন। সরকার জনগণের সেবক। বঙ্গবন্ধুর কন্যার রক্তের মধ্যে সেবার কথাটি লেখা রয়েছে। 

উল্লেখ্য, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও ধলেশ্বরী নদীর তীরভূমিতে (বৃত্তাকার নৌপথ অংশে) অননুমোতিভাবে ১১৩টি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এগুলোর মধ্যে ৭৭টি মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও মাজার, ৫টি কবরস্থান ও মৃত ব্যক্তির গোসলখানা, একটি ঈদগাহ, ১৪টি স্কুল ও কলেজ, ১৩টি নৌ-ঘাট, মন্দির ও শ্মশানঘাট এবং তিনটি অন্যান্য স্থাপনা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন সচিব মো. আবদুস সামাদ, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ হাফেজ আবদুর রাজ্জাক এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নেতারা বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলাম, নৌপুলিশের ডিআইজি আতিকুল ইসলাম, আতাউল্লাহ হাফেজ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক উপস্থিত ছিলেন।

এমএএম /এফসি

আরও পড়ুন